তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে এ দাবি এসেছে।
গণজাগরণ মঞ্চ চট্টগ্রামের আহ্বায়ক ডা. এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশি যুদ্ধাপরাধীদের সাথে সাথে পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদেরও বিচার চাই। পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। জেনেভা কনভেনশন ভঙ্গ করে তারা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।
“আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি পাকিস্তানের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার। সংসদে আইন করে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতিও নিষিদ্ধ করতে হবে।”
শহীদ জায়া বেগম মুশতারি শফি বলেন, “দেশের শত্রু পাকিস্তানের দালালদের বিচারের দাবিতেই গণজাগরণ মঞ্চের যাত্রা শুরু হয়েছিল। যতদিন সব রাজাকারের ফাঁসি হবে না ততদিন গণজাগরণ মঞ্চ চলবে।
“যেসব যুদ্ধাপরাধীর বিচার হয়নি তাদের প্রত্যেকের ফাঁসি দাবি করছি।”
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাক্ষী মুক্তিযোদ্ধা কাজী নুরুল আবছার, নারীনেত্রী নুরজাহান খান, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা পঞ্চানন চৌধুরী, ছাত্র ইউনিয়নের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাহিদ আল মোস্তফা ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নগর কমিটির প্রচার সম্পাদক রবিউল ইসলাম।
উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা তপন দস্তিদার, সাংস্কৃতিক সংগঠক অনুপ বিশ্বাস, প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের সভাপতি রাশেদ হাসান, উদীচীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুনীল ধর, উদীচীর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শীলা দাশগুপ্ত, যুব নেতা রুবেল দাশ প্রিন্স, ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি আল কাদেরী জয় প্রমুখ।
এছাড়া অনুষ্ঠানে সঙ্গীত ও আবৃত্তি পরিবেশন করে খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগরী, উদীচী, প্রমা, অভ্যুদয় ও রাজশ্রী।
সংহতি প্রকাশ করে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, যুব ইউনিয়ন, যুব মৈত্রী ও মহিলা পরিষদ।