হরতালের শুরু সোমবার সকাল থেকে বন্দরনগরী এবং জেলার কোথাও জামায়াত-শিবির কর্মীদের কোনো ধরনের মিছিল-সমাবেশের খবর পাওয়া যায়নি।
হরতালের সকালের দিকে কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নগরীর সড়কগুলোতে যান চলাচল বেড়েছে। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক আছে।
পুলিশ বলছে, চট্টগ্রামের পরিস্থিতি অন্য দিনের মতই আছে।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাকা চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় রোববার প্রথম প্রহরে। এর পরপরই সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে সোমবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের এই বার্তা দেয় একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দল জামায়াত।
ওই বার্তায় বলা হয়, “বর্তমান স্বৈরাচারী জালেম সরকার এ রকম একজন সৎ, আল্লাহভীরু ও যোগ্য জাতীয় নেতাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করায় জাতি গভীরভাবে শোকাহত ও ক্ষুব্ধ।”
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জামায়াত হরতাল ডাকলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
“কোথাও অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি। নাশকতা এড়াতে আগের দিনের মত এ হরতালেও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”
এর আগে মুজাহিদের রিভিউ আবেদন খারিজের পর জামায়াতে ইসলামী গত ১৯ নভেম্বর দেশব্যাপী হরতাল ডেকেছিল।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) হাবিবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, পটিয়া, আনোয়ারা, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ কোথাও বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি।
“পরিস্থিতি অন্য দিনের মতই স্বাভাবিক আছে।”
জামায়াত-শিবির অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া ও হাটহাজারীর পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলে জানিয়েছেন সহকারী পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) মসিউদ্দৌলা রেজা।
নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছে বিজিবির টহল দল।
বিজিবির ২৮ ব্যাটালিয়ানের কমান্ডার লে. কর্নেল এমারত হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জেলা শহরের পাশাপাশি রাউজান, হাটহাজারী, সীতাকুণ্ড ও বাঁশখালীতে মোট ১৬ প্লাটুন বিজিবি টহল দিচ্ছে।
যানবাহনের সংখ্যা কম থাকলেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে জানিয়েছেন সীতাকুণ্ড থানার ওসি ইফতেখার হাসান।