আরব আমিরাত থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা ‘গৃহস্থালী পণ্যের’ কন্টেইনারে পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় রুপি।
Published : 21 Sep 2015, 09:01 AM
রোববার রাতে বন্দরের আট নম্বর ইয়ার্ডে একটি ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের কন্টেইনার খুলে চারটি কার্টনের ভেতরে ভারতীয় মুদ্রা পান কাস্টমস ও শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
তাদের ধারণা, এসব ভারতীয় মুদ্রা ‘জাল হয়ে থাকতে পারে’; এর পেছনে থাকতে পারে কোনো ‘অপরাধমূলক কাজের’ পরিকল্পনা।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরাহ বন্দর থেকে আসা ওই কন্টেইনারে আরও নানা ধরনের সামগ্রী রয়েছে। একইসঙ্গে আসা আরও তিনটি কন্টেইনার রাখা হয়েছে পরীক্ষার জন্য।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী কমিশনার মুকিতুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের ধারণা, বাকি কার্টনগুলোতেও ভারতীয় রুপি রয়েছে।”
কনটেইনারে রুপি পাওয়ার খবরে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান এবং শুল্ক ও গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. ময়নুল খান রোববার রাতেই ঘটনাস্থলে যান।
পরে নজিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “যে কন্টেইনার খোলা হয়েছে ওটার ভেতরে ১৬৫টি কার্টন আছে। গোয়েন্দা তথ্য ছিল অবৈধ মালামাল আছে।”
‘পরিবারের ব্যবহার্য্য সামগ্রী’ ঘোষণা দিয়ে ওই কনটেইনার আনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
কন্টেইনারটি পাঠিয়েছেন মো. শহীদুজ্জামান নামের এক ব্যক্তি, যার বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে, থাকেন দুবাইয়ে।
মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী ‘এমভি প্রসপার’ নামের একটি জাহাজে করে কন্টেইনার চারটি ফুজাইরাহ বন্দর থেকে গত ১৬ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে পৌঁছায়।
এসব কনটেইনারের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের দায়িত্বে আছে নগরীর হালিশহর এলাকার ফ্ল্যাশ ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল।
এর আগে গত এপ্রিলে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছয় কোটি জাল ভারতীয় রুপি উদ্ধার করা হয়েছিল। এর বাইরেও বিভিন্ন সময়ে বিমানবন্দরে ও বিভিন্ন স্থানে বিদেশি মুদ্রা পাওয়া গেছে। কিন্তু বন্দরে এভাবে রুপি আনার ঘটনা এবারই প্রথম।
শুল্ক ও গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মঈনুল খান রাতে সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশকে ‘ট্রানজিট হিসেবে’ ব্যবহার করে এসব ভারতীয় মুদ্রা ‘অন্য কোথাও’ পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল বলে তার ধারণা।
“অপরাধমূলক কাজের জন্য এসব আনা হয়েছে। অতীতেও যত ভারতীয় রুপি বাংলাদেশে আটক হয়েছে তার অধিকাংশই ছিল জাল। এসবও জাল হতে পারে বলে মনে করছি।”