মিয়ানমার ফেরত ১২৫ জন বাড়ির পথে

মিয়ানমারের জলসীমা থেকে উদ্ধারের পর বাংলাদেশি হিসেবে সনাক্ত ১২৫ জন অভিবাসন প্রত্যাশী বাড়ির পথে রওনা হয়েছেন।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 August 2015, 12:39 PM
Updated : 27 August 2015, 12:39 PM

কক্সবাজারের সহকারী পুলিশ সুপার ছত্রধর ত্রিপুরা জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত সময়ে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র থেকে তাদের বাড়ির উদ্দেশে পাঠানো হয়।

পুলিশসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদে এসব লোকজনকে পাচারে জড়িত থাকার ব্যাপারে ৬০ জন দালালের নাম ও পরিচয় জানা গেছে বলেও জানান তিনি।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এতে সহায়তা দিচ্ছে বলে জানান তিনি।

“অপ্রাপ্ত বয়স্ক ২৫ জনকে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এবং প্রাপ্ত বয়স্ক ১০০ জনকে আইওএম-এর সহায়তায় বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।”

পঞ্চম দফায় এই ১২৫ জনসহ মোট ৬২৬ জনকে মিয়ানমার থেকে ফেরত আনা হলো।

এএসপি ছত্রধর ত্রিপুরা জানান, মঙ্গলবার ১২৫ জনকে ফেরত আনার পর রাতেই ইমিগ্রেশন সংশিষ্ট কাজ শেষ করা হয়। এরপর পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

“জিজ্ঞাসাবাদে ফেরত আনাদের পাচারে জড়িত ৬০ জন পাচারকারিকে সনাক্ত করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে ১৪টি জেলার সংশ্লিষ্ট উপজেলায় মামলা দায়ের করা হবে।”

তিনি জানান, এসব লোকজনকে নিয়ে আইওএম ও রেড ক্রিসেন্ট প্রতিনিধিরা প্রথমে তাদের স্ব-স্ব থানায় যাবেন। পরে মামলা দায়ের শেষে তারা বাড়ি ফিরবেন।

আইওএম কর্মকর্তা আসিফ মুনীর জানান, ফেরত আনা ১২৫ জন ১৪টি জেলার বাসিন্দা।

এদের মধ্যে কক্সবাজারে ৮৫ জন, বান্দরবানের ৫ জন, ফেনীর ৩ জন, ভোলার ২ জন, চাঁদপুরের ১ জন, মাদারীপুরের ৭ জন, গোপালগঞ্জের ১ জন, রাজবাড়ীর ২ জন, ব্রাম্মণবাড়িয়ার ৫ জন , গাজীপুরের ১ জন, টাঙ্গাইলের ৪ জন, ঢাকার ২ জন, কিশোরগঞ্জের ৩ জন ও মেহেরপুরের ৪ জন রয়েছেন।

আসিফ জানান, ফেরত আনাদের মধ্যে অপ্রাপ্ত বয়স্ক রয়েছে ২৫ জন। এরমধ্যে কক্সবাজারের ২২ জন, বান্দরবানের ২ জন, ঢাকার যাত্রবাড়ী এলাকার ১ জন কিশোর রয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে এই ১২৫ জনকে দেশে ফেরত আনা হয়।

সেখান থেকে ওইদিনই বিকালে চারটি বাসে তাদের আনা হয় কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে।  

গত ২১ মে মিয়ানমারের জলসীমা থেকে সাগরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ২০৮ জন এবং ২৯ মে আরও ৭২৭ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করে দেশটির নৌ-বাহিনী।

এদের মধ্যে গত ৮ জুন, ১৯ জুন, ২২ জুলাই ও ১০ অগাস্ট চার দফায় দেশে ফেরত আনা হয় ৫০১ জনকে। পঞ্চম দফায় আনা হয় ১২৫ জনকে।