ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডের শুরুটা খুব হতাশাজনক ছিল মুশফিকুর রহিমের। উইকেটে থিতু হয়ে উচ্চাভিলাষী শট খেলতে গিয়ে আউট। ফিল্ডিংয়ের শুরুতেই শিখর ধাওয়ানের দুটি ক্যাচ হাতছাড়া। ম্যাচ শেষে সেই মুশফিক বাংলাদেশের ৭৯ রানের জয়ের অন্যতম নায়ক!
Published : 19 Jun 2015, 01:15 AM
বৃহস্পতিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের জয়ে মুশফিকের পাঁচটি ডিসমিসালের অবদান কম নয়। খালেদ মাসুদের পর দেশের দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক হিসেবে এই কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তিনি।
২০০৬ সালে নাইরোবিতে কেনিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম উইকেটরক্ষক হিসেবে পাঁচ ডিসমিসালেল কৃতিত্ব দেখান মাসুদ। তিনটি ক্যাচ ধরার সঙ্গে, দুটি স্টাম্পিং করেছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার পাঁচটি ক্যাচ গ্লাভসবন্দি করেন মুশফিক। বাংলাদেশের কোনো উইকেটরক্ষক এই আগে ওয়ানডেতে পাঁচটি ক্যাচ ধরতে পারেননি।
যাকে দুই বার জীবন দেন, সেই ধাওয়ানের ক্যাচ গ্লাভসবন্দি করে দায় মোচন শুরু করেন মুশফিক। তাসকিন আহমেদ ৯৫ রানের সেই উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর আর পেছনে তাকাতে হয়নি স্বাগতিকদের।
তাসকিনের পরের ওভারে ভারতের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলির ক্যাচ ধরতে কোনো ভুল করেননি মুশফিক।
সাকিব আল হাসানের বলে ভারতের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির ব্যাট ছুঁয়ে আসা ক্যাচ গ্লাভসবন্দি করে অতিথিদের বিপদ আরও বাড়ান মুশফিক।
মুশফিকের চতুর্থ ডিসমিসাল রবিচন্দ্রন অশ্বিন। সুরেশ রায়নাকে বোল্ড করার পরের বলে অশ্বিনকে ফিরিয়ে দেন মুস্তাফিজুর রহমান। তার বলে ব্যাট ছুঁয়ে আসা ক্যাচ ধরে দলকে জয়ের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে নেন মুশফিক।
মাশরাফির বলে একটি ক্যাচ ছেড়েছিলেন মুশফিক, দ্বিতীয়টি আর হাতছাড়া করেননি। অধিনায়কের বলে মোহিত শর্মাকে গ্লাভসবন্দি করে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো পাঁচটি ক্যাচ ধরার কৃতিত্ব দেখান তিনি।
২০১০ ও ২০১১ সালে দুইবার করে চারটি ডিসমিসাল করে থেমে যেতে হয়েছিল মুশফিককে। ২০০৮ সালেও একবার চারটি ডিসমিসাল পর্যন্ত গিয়ে থামতে হয়েছিল তাকে। এবার আর হতাশ হতে হয়নি, পাঁচ ডিসমিসালেই জয় উদযাপন করেন ১৫০তম ওয়ানডেতে খেলা এই ক্রিকেটার।