এবার কাঁদতে চান না সাকিব

পাকিস্তানের বিপক্ষে অনেক স্মৃতিই আছে বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। ওয়ানডেতে তাদের বিপক্ষে শতকের সুখস্মৃতি আছে তার। এশিয়া কাপের ফাইনালে মাত্র ২ রানের হারের বেদনার স্মৃতিও আছে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 April 2015, 12:00 PM
Updated : 16 April 2015, 02:23 PM

২০০৮ সালে পাকিস্তান সফরে প্রথমবারের মতো তাদের বিপক্ষে খেলেন সাকিব। প্রথম ম্যাচে শূন্য ও পরের ম্যাচে চার রান করেন তিনি। পরের দুই ম্যাচে খেলেন ৭৫ ও ১০৮ রানের দারুণ দুই ইনিংস।

২০০৮ সালের এপ্রিলের সেই সিরিজের কথা ভালোভাবেই মনে আছে শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়াডেতে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিতে যাওয়া সাকিবের।

তবে ২০১২ সালের এশিয়া কাপের স্মৃতিটাই সাকিবের মনে উজ্জ্বল।

“২০১২ সালের এশিয়া কাপের কথা অনেক বেশি মনে পড়ে। দুটি ম্যাচ খেলেছিলাম, দুটিতেই জেতার কথা ছিল। এতো কাছাকাছি ছিলাম কিন্তু হয়নি।”

সেই আসরে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ২১ রানে হারে। ২৬৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এক সময় বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ২২৪ রান। কিন্তু সেখান থেকে ২৪১ রানে অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা।

ফাইনালে হৃদয় ভেঙে মাত্র ২ রানে হারে বাংলাদেশ। ২৩৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৩৪ রানে থেমে যায় স্বাগতিকদের ইনিংস। সেই ম্যাচ শেষে চোখে পানি ধরে রাখতে পারেননি মুশফিকুর রহিম, সাকিবরা।

“আসলে মুশফিক ভাই কাঁদছিল..এই কারণে সমস্যাটা হয়েছে।”

এটা বলেই সাকিব থেমে গেলেও কারো বুঝে নিতে সমস্যা হয়নি সেই কান্না ভুলতে এবার সিরিজে কতটা মরিয়া থাকবে বাংলাদেশ। সাকিবের কথাতেও তার আভাস রয়েছে। তিনি এবারের সিরিজকেই পাকিস্তানের বিপক্ষে ভালো খেলার নিজেদের সেরা সুযোগ হিসেবে দেখছেন।

গত বছরের এশিয়া কাপেও পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশ। এনামুল হকের শতকে ৩২৬ রানের বড় সংগ্রহ গড়েছিল তারা। কিন্তু আহমেদ শেহজাদের শতক আর শহিদ আফ্রিদির তাণ্ডবে এক বল বাকি থাকতে ৩ উইকেটের জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।

সেই হার এখনো পোড়ায় সাকিবদের। তবে জয়ের এতো কাছাকাছি যাওয়া থেকে অনুপ্রেরণাও পাচ্ছেন তারা।

“একটু এদিক-ওদিক হলেই জয় পাওয়া সম্ভব হত। এবার ভাগ্য যদি আমাদের সাথে থাকে এবং আমরা যদি আমাদের সেরা খেলাটা খেলি, তাহলে সব কিছুই সম্ভব।”

পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের একমাত্র জয়টি আসে ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপ ম্যাচে। দেড় দশকের বেশি সময়ের জয় খরা এবার কাটাতে চায় বাংলাদেশ।