আগামী শুক্রবার মিরপুরে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি খেলবে পাকিস্তান। তার আগে বুধবার ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে বিসিবি একাদশের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচে হারে অতিথিরা।
সাব্বিরের শতকে ১ উইকেটের নাটকীয় জয় পায় বিসিবি একাদশ। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাব্বির জানান, শতকের চেয়ে জেতার জন্যই বেশি ভালো লাগছে তার।
১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র জয়টি পায় বাংলাদেশ। এরপর কোনো ধরনের ক্রিকেটে আর সাবেক চ্যাম্পিয়নদের হারাতে পারেনি তারা।
“এটা আসলে অনেক বড় ব্যাপার। ওরা অনেক বড় দল। অনুশীলন ম্যাচে তাদের হারানো আমাদের মূল ম্যাচে আত্মবিশ্বাস যোগাবে।”
মাত্র ৯ রানে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের বিদায়ে ক্রিজে আসেন সাব্বির। চাপের মধ্যেও ৯৯ বলে ১২৩ রানের চমৎকার এক ইনিংস খেলেন তিনি।
“দলের প্রয়োজনে ১ রানও অনেক বড় বিষয়। আর শতক করে জেতাতে পেরেছি বলে অনেক ভাল লাগছে। আজকে ব্যাটিং আমি খুব উপভোগ করেছি। বাড়তি কিছু ভাবিনি, আমি আমার স্বাভাবিক খেলাই খেলেছি।”
এবারের সফরে তিনটি ওয়ানডে ছাড়াও দুটি টেস্ট ও একটি টি-টোয়েন্টি খেলবে পাকিস্তান। তাদের বিপক্ষে এবার নিজেদেরই এগিয়ে রাখছেন সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহরা।
সাব্বির জানান, প্রস্তুতি ম্যাচে হারায় এখন দুর্ভাবনায় পড়বে পাকিস্তান।
“আমরা যখন বাইরে খেলতে যাই, প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে হারলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি। এই হার প্রথম ম্যাচে কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলবে।”
জুনায়েদ খান, ওয়াহাব রিয়াজ, রাহাত আলি, ইয়াসির শাহ ও সাইদ আজমলে গড়া পাকিস্তানের বোলিং লাইনআপ খুব শক্তিশালী বলে মনে করেন সাব্বির।
“ওরা খুব ভাল বোলার। আমি ভাল ব্যাটিং করেছি। আমার হয়তো একটা সুযোগ ওরা মিস করেছে; কিন্তু ওরা ভাল বোলার।”
প্রস্তুতি ম্যাচে চার নম্বরে খেলে শতক পেলেও এখনই জাতীয় দলে ‘প্রমোশন’ চান না সাব্বির। জাতীয় দলে সাত নম্বরে খেলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
“৪/৫ ভালো পজিশন। আমাদের দলে খুব ভাল ব্যাটসম্যানরাই এই পজিশনে ব্যাটিং করে। আমাকে যেখানেই খেলান হোক না কেন, আমি ভাল খেলার চেষ্টা করবো; দলের প্রয়োজনীয় রানটুকু করার চেষ্টা করবো।”
৮১ রানে চার উইকেট হারিয়ে চাপেই পড়েছিল বাংলাদেশ। ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ১২৪ রানের জুটি গড়ে সেখান থেকে দলকে সুবিধাজনক জায়গায় নিয়ে যান সাব্বির। শতরানের জুটিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ইমরুলের প্রশংসা করেন তিনি।
“আমরা ঠিক করেছিলাম, মারার বল পেলে মারব। ইতিবাচক থাকব। ইতিবাচক ছিলাম বলেই আমরা জিততে পেরেছি। ইমরুল ভাই খুব সহায়তা করেছে, তাই আমি স্বাধীনভাবে খেলতে পেরেছি।”