বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে সবটুকু আলো নিজের করে নেওয়া সরফরাজ আহমেদের আনন্দের শেষ নেই। সে আনন্দ এতটাই বেশি যে, উপেক্ষার জবাব দিতে পারার চেয়ে ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে বেশি ব্যস্ত হলেন তিনি।
Published : 07 Mar 2015, 04:46 PM
অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ২৯ রানে হারায় পাকিস্তান। ব্যাট হাতে ৪৯ রানে মূল্যবান ইনিংস খেলার পর উইকেটের পেছনে ৬টি ক্যাচ নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান পাকিস্তানের এই উইকেটরক্ষক।
ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় সরফরাজের কণ্ঠে উপেক্ষার জবাব দিতে পারার ক্ষোভের ছিটেফোটাও ছিল না; বরং সবাইকে কৃতজ্ঞতার বাঁধনে বাঁধলেন তিনি, “বিশ্ব এবং পাকিস্তানের কাছে এই সুযোগের জন্য আমি ভীষণ কৃতজ্ঞ।”
“যারা আমাকে সমর্থন করেছে, তাদেরকে এবং আমার পরিবারকেও আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই”, যোগ করেন বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ডিসমিসালের রেকর্ডে অ্যাডাম গিলক্রিস্টের পাশে বসা সরফরাজ।
২০০৭ সালের নভেম্বর জয়পুরে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয় সরফরাজের। তবে আন্তর্জাতিক আঙিনায় প্রায় আট বছর কাটিয়ে দিলেও ২৭ বছর বয়সী এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানের ওয়ানডে সংখ্যা পঞ্চাশও পেরুয়নি। এ পর্যন্ত ৩৭ ওয়ানডে খেলেছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
আগের চার ম্যাচে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান নাসির জামশেদ প্রত্যাশার প্রতিদান দিতে না পারায় সরফরাজ সুযোগ পান। প্রথম সুযোগটি লুফে নিতে একটুও ভুল হয়নি তার।
টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাওয়া পাকিস্তানের ২২২ রানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবদান রাখেন সরফরাজ। এরপর উইকেটের পেছনে ওঠা সুযোগগুলো কাজে লাগান অসামান্য দক্ষতায়। ম্যাচ শেষে সরফরাজ জানালেন এমন নির্ভার থেকে খেলে যাওয়ার পেছনে কারণ।
“এটা আমার বিশ্বকাপে অভিষেক ম্যাচ ছিল; মুশি ভাই (মুশতাক আহমেদ) আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ভালো কিছু কথা বলেছিলেন; তিনি বলেছিলেন, যাও এবং উপভোগ কর।”