সারাদিনে বাতাসে স্টাম্পের বেলস পড়েছে ৭-৮ বার। আম্পায়ারের হ্যাট, সানগ্লাস উড়ে গেছে কয়েকবার। ব্যাটিং ক্রিজ থেকে মুমিনুল হককে বেশ অনেকটা বাইরে টেনে নিয়েছে বাতাস। ঘুর্ণিঝড়ের মত শো শো শব্দ ছিল সারাদিনই। চারপাশে সবকিছু ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার আওয়াজ।
বিশ্বের সবচেয়ে তীব্র বাতাসের শহর বলে পরিচিত ওয়েলিংটন। আগের দুদিন আবহাওয়া বেশ ভালো ছিল, তাই বাতাসের তীব্রতা এতটা বুঝতে পারেনি বাংলাদেশ দল। টেস্টের প্রথম দিনে আপন চেহারায় সবার সঙ্গে পরিচয় পর্বটা যেন সেরে নিল ওয়েলিংটনের হাওয়া।
বাংলাদেশের এই দলের তিন জনের অভিজ্ঞতা আছে আগে বেসিন রিজার্ভে খেলার। তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম ছিলেন ২০০৮ সালের টেস্টে। তামিম পরে ওয়েলিংটন ফায়ারবার্ডসের হয়ে এখানে খেলেছেন দুটি ম্যাচ। তবে কোনোবারই বাতাস এতটা ভয়াবহ ছিল না।
দিন শেষে সেই বাতাসে ব্যাট করার অভিজ্ঞতা শোনাচ্ছিলেন তামিম।
“ব্যাটিং করছি, আর মনে হচ্ছে পেছন থেকে কেউ টানছে! এতটাই তীব্র বাতাস। ম্যাচ অফিশিয়ালরা শুরুর আগেই একটা কথা আমাদের বলে দিয়েছিলেন যে খুব বেশি বাতাস থাকলে সরে দাঁড়াতে। এই কারণে বেশ কবারই স্টান্স থেকে সরে দাঁড়িয়েছি আমরা। ৭-৮ বার বেলস পড়ে গেছে বাতাসে। আমাদের জন্য এরকম বাতাস একদমই নতুন। এত বাতাসের ধারে কাছেও কোথাও কখনও খেলিনি।”
“আমাদের জন্য কাজটি কঠিন ছিল। এরকম পরিস্থিতিতে তো বিশ্বের আর কোথাও খেলা হয় না। সব মিলিয়ে আমরা যেভাবে সামলেছি, তা দারুণ। খুব ভালো খেলেছি আমরা।”
শুধু বাতাসই নয়, বাংলাদেশকে ভুগিয়েছে বৃষ্টিও। বারবার বৃষ্টি বিরতিতে দলকে ধরে রাখতে হয়েছে মনোযোগ। ব্যাটসম্যানদের শুরু করতে হয়েছে নতুন করে। তার পরও দল যেভাবে খেলেছে, সেটা তৃপ্তি দিচ্ছে সহ-অধিনায়ককে।
“ব্যাটসম্যানদের জন্য তো আদর্শ নয় পরিস্থিতিটা। যারা উইকেটে থাকে, সবসময়ই চায় টানা যতটা খেলা যায়। কারণ সেই মনোযোগটা ধরে রাখতে হয়, বোলারদের বিপক্ষে পরিকল্পনা করা যায়। বিরতি পড়লেই সব নতুন করে শুরু করতে হয়। সব মিলিয়ে আমরা বেশ ভালো খেলেছি।”
দ্বিতীয় দিনে আবহাওয়া ভালো থাকার কথা। কমার কথা বাতাসের তীব্রতা। বাংলাদেশের ব্যাটিং আরও ভালো হবে তো!