বাংলাদেশের কোচ এক সময় ছিলেন স্টিভেন স্মিথের নিজের কোচ। নিউ সাউথ ওয়েলসে চন্দিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছিলেন ব্যাটিং নিয়ে; যার জন্য এখনও কৃতজ্ঞ অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক।
Published : 20 Mar 2016, 07:26 PM
গড়পড়তা মানের এক ‘মিনি’ অলরাউন্ডার থেকে স্মিথের আজ বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যানদের একজন হয়ে ওঠার পেছনে বড় অবদান হাথুরুসিংহের। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে নিউ সাউথ ওয়েলসের সহকারী কোচ হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন সাবেক শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার। সেখানেই তিনি পেয়েছিলেন স্মিথকে।
স্মিথ তখন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। ব্যাটসম্যান কিংবা বোলার, নাকি একটু ব্যাটিং আর একটু বোলিং মিলিয়ে কাজ চালানোর অলরাউন্ডার, ভুগছিলেন অস্তিত্ব সংকটে। হাথুরুসিংহের সান্নিধ্যে খুঁজে পেলেন আত্মপরিচয়। নিবিড়ভাবে কাজ করলেন ব্যাটিং নিয়ে। সুফলও মিলল। ২০১৩ সালের মার্চ থেকে স্মিথের ক্যারিয়ারে নতুন এক অধ্যায়ের শুরু, যেটির পথচলায় আজ তার মাঝে গ্রেট হয়ে ওঠার ইঙ্গিত।
শুধু তখনই নয়, বাংলাদেশের কোচ হয়ে আসার পরও নানা সময়ে ফোনে, ই-মেইলে হাথুরুসিংহের কাছ থেকে ‘টিপস’ নিয়েছেন স্মিথ।
সময়ের পরিক্রমায় সেদিনের উঠতি ক্রিকেটার আজ বিশ্বজয়ী দলের অধিনায়ক। আর সেই সময়ের গুরু এখন প্রতিপক্ষ কোচ। সোমবার বেঙ্গালুরুতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া। আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে স্মিথ শ্রদ্ধা ভরেই জানালেন নিজের ক্যারিয়ারে এই লঙ্কান কোচের অবদান।
“নিউ সাউথ ওয়েলসে চন্দিকার সঙ্গে কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছিল। আমার ক্যারিয়ারে তার প্রভাব অনেক। খেলাটা খুব ভালো পড়তে পারের তিনি, ব্যাটিংটা খুব ভালো বোঝেন। নিউ সাউথ ওয়েলসের জন্য তিনি ছিলেন দারুণ।”
বাংলাদেশের কোচ হিসেবে হাথুরুসিংহের সাফল্যেও খুশি স্মিথ।
“আন্তর্জাতিক একটি দলের হয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়ে তিনি দারুণ করছেন। বাংলাদেশে আসার পর থেকেই যতটা সাফল্য পেয়েছেন, এটা দারুণ।”