এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিততে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও জর্জ বেইলির অর্ধশতকে বড় সংগ্রহ গড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ওয়েন মর্গ্যানের অধিনায়কোচিত ব্যাটিংয়ে চতুর্থ ওয়ানডেতে ৩ উইকেটের দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা।
Published : 11 Sep 2015, 07:04 PM
পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এখন ২-২ সমতা। প্রথম দুই ম্যাচে জিতে সিরিজে এগিয়ে যায় স্টিভেন স্মিথের অস্ট্রেলিয়া। পরের দুই ম্যাচ জিতে সমতা ফেরায় ইংল্যান্ড। আগামী রোববার ম্যানচেস্টারে হবে পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডে।
শুক্রবার লিডসের হেডিংলিতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৯ রান করে অস্ট্রেলিয়া। ৪৮ ওভার ২ বলে ৭ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শূন্য রানে আলেক্স হেলসের বিদায়ে শুরুটা ভালো হয়নি ইংল্যান্ডের। কিন্তু জ্যাসন রয়ের (৩৬) সঙ্গে জেমস টেইলরের ৭২ রানের জুটিতে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেয় স্বাগতিকরা।
জ্যাসনের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টিকেননি টেইলর (৪১)। তবে বেন স্টোকসের সঙ্গে ৯১ রানের জুটিতে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন মর্গ্যান। মিচেল মার্শের বলে স্টোকস (৪১) বোল্ড হলে ভাঙে ১৭.৫ ওভার স্থায়ী এই জুটি।
স্টোকসের বিদায়ের পর আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেন মর্গ্যান। জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে ৬.১ ওভারে ৫৮ রানের আরেকটি চমৎকার জুটি উপহার দেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের পর মর্গ্যানকেও ফেরান অস্ট্রেলিয়ার সেরা বোলার প্যাট কামিন্স। ৪৯ রানে চার উইকেট নেন তিনি।
দলীয় ২৩৮ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরার আগে ৯২ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন মর্গ্যান। তার ৯২ বলের ইনিংসটি সাজানো ৮টি চার ও দুটি ছক্কায়।
থিতু ব্যাটসমান বেয়ারস্টোকে (৩১) ফেরানো ম্যাক্সওয়েল ইংল্যান্ডকে বড় একটা ধাক্কা দেন দারুণ এক ক্যাচ ধরে। কামিন্সের বলে সীমানায় দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় দুর্দান্ত এক ক্যাচ নিয়ে লিয়াম প্লানকেটকে (১৭) বিদায় করেন তিনি।
প্লানকেট ফিরে যাওয়ার সময় ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল আরও ১৮ রান। সিরিজ বাঁচিয়ে রাখতে এই ম্যাচে জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না তাদের। মইন আলি তখনও উইকেট ছিলেন বলে আশা ছাড়েনি স্বাগতিকরা। হতাশ করেননি মইন ( অপরাজিত ২১), ডেভিড উইলিকে (অপরাজিত ১২) নিয়ে শেষ পর্যন্ত জয় এনে দেন তিনি।
এর আগে উইলির দারুণ বোলিংয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। ৩০ রানের মধ্যে অতিথিদের প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দেন উইলি। জো বার্নসকে বোল্ড, অ্যারন ফিঞ্চকে বেয়ারস্টোর ক্যাচ ও স্মিথকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন এই পেসার।
চতুর্থ উইকেটে ম্যাক্সওয়েল-বেইলির ১৩৭ রানের জুটিতে প্রাথমিক ধাক্কা সামলে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। মইনের বলে ম্যাক্সওয়েল বোল্ড হলে ভাঙে ২১.১ ওভার স্থায়ী জুটি। ৬৪ বলে ম্যাক্সওয়েলের ৮৫ রানের ঝড়ো ইনিংসটি সাজানো ১০টি চার ও দুটি ছক্কায়।
মিচেল মার্শের সঙ্গে ৪৩ রানের আরেকটি জুটিতে দলকে দুইশ' পার করেন বেইলি। তিন বলের মধ্যে বেইলি-মার্শকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ড শিবিরে স্বস্তি ফেরান লিয়াম প্লানকেট। তাকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৭৫ রানের ভালো একটি ইনিংস খেলেন বেইলি।
এরপর মইন অভিষিক্ত মার্কোস স্টোইনিসকে বিদায় করলে অস্ট্রেলিয়ার ওপর চাপ আরও বাড়ে। তবে ম্যাথু ওয়েড ও জন হেস্টিংসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সেই চাপ পেছনে ফেলে ইংল্যান্ডকে তিনশ' রানের লক্ষ্য দেয় অস্ট্রেলিয়া।
অবিচ্ছিন্ন অষ্টম উইকেটে ৮.২ ওভারে রানের ৮৪ জুটি গড়েন ওয়েড-হেস্টিংস। ৫০ রানে অপরাজিত থাকা উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ওয়েডের ২৬ বলের ইনিংসটি ৩টি করে ছক্কা ও চার সমৃদ্ধ। হেস্টিংসের ২৬ বলে অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসটি গড়া ৩টি চার ও ২টি চারে সাজানো।