রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলকারীরা।
Published : 20 Apr 2013, 08:17 AM
বেলা ১১টার দিকে তারা উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাওয়ের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়।
এ সময় আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ প্রথমে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এরপর তারা লাঠিপেটা শুরু করে।
এতে পাঁচ শিক্ষক-কর্মকর্তাসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আশরাফুল আলম, বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. শফিক আশরাফ, কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ইলিয়াস প্রামানিক, সহকারী প্রক্টর শামীম আল মতিন ও সহকারী রেজিস্ট্রার জাহিদুর রহমানকে আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন রংপুর-বগুড়া মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে।
আন্দোলনকারী শিক্ষক ড. আর এম হাফিজুর রহমান সেলিম বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাস ভবনের দিকে যাচ্ছিলাম। এ সময় পুলিশ হঠাৎ করে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে এবং নির্বিচারে লাঠিপোটা শুরু করে।”
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রশিদুল হাসান বলেন, “শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার শেল ছোড়ার পর তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তখন বাধ্য হয়েই আমরা লাঠিপেটা করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেই।”
এদিকে সংঘর্ষের সময় উপাচার্যের বাসভবনের কাছে থেকে রাজিব হোসেন নামে এক যুবককে দুটি হাতবোমাসহ আটক করা হয় বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান।
ছাত্রলীগ কর্মী রাজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর এসিড হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি বলে জানান তিনি।
থমথমে ক্যাম্পাসে বিপুল সংখ্যক দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরুর পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ’ এর আহ্বায়ক ড. আর এম হাফিজুর রহমান সেলিম, বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সম্মিলিত শিক্ষক সমাজের সদস্য সচিব ড. তুহিন ওয়াদুদ, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আপেল মাহমুদ, প্রভাষক ওমর ফারুকসহ সহকারী নিবন্ধক আমিনুর রহমান এবং কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সহকারী পরিচালক মামদুদুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করে।
এর প্রতিবাদে ওই দিন বিকালেই উপাচার্যের বাস ভবন ঘেরাওযের ঘোষণা দেয় আন্দোলনকারীরা।