নিজেদের তৈরি করা জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব মটরযান চালিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন দেশের কয়েকটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
Published : 15 Mar 2013, 01:45 PM
জাপান সরকারের উন্নয়ন সহায়তা সংস্থা জাইকার উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুক্রবার অনুষ্ঠিত ‘ইকোরান বাংলাদেশ ২০১৩’ শীর্ষক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে নিজেদের উদ্ভাবনী ক্ষমতার পরিচয় দেন তারা।
১৯৮৩ সাল থেকে জাপানে ‘ইকোরান’ প্রতিযোগিতা হয়ে আসলেও বাংলাদেশে এবারই প্রথম এ ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়(চুয়েট), রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), ইসলামিক প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (আইইউটি), বরিশাল টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ (বিটিএসই) ও মিলিটারি ইনিস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।
প্রায় এক বছর ধরে চার চাকার পাঁচটি এবং তিন চাকার ১০টি গাড়ি তৈরি করে প্রতিযোগিতায় নামেন তারা।
নিজেদের গাড়ি নিয়ে তিনবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের চারপাশ প্রদক্ষিণ করেন প্রতিযোগীরা। ১৫ জন গাড়িচালকের কারোরই সড়কে গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা না থাকলেও বেশ দক্ষতার সঙ্গেই প্রতিযোগিতা শেষ করেন তারা।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া একমাত্র নারী গাড়িচালক ছিলেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শেখ ফারহা আদৃতা।
প্রতিযোগিতা শেষে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “গাড়ি চালানো এমনিতেই বেশ মজার ব্যাপার। আর নিজেদের তৈরি (ম্যানুফ্যাকচার) করা গাড়ি চালাতে পারার অনুভূতিই আলাদা।”
প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, “বাড়ির উঠোনে বা কোনো ছোট ওয়ার্কশপে তৈরি কোনো একটি উদ্ভাবন পরবর্তীতে অনেক বড় সাফল্য এবং বিশাল শিল্প প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে পারে।”
প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে জাপান দূতাবাসের কাউন্সেলর মাসায়ুকি তাগা বলেন, “উদ্ভাবন উন্নয়নের চাবিকাঠি। বাংলাদেশের নবীন শিক্ষার্থীদেরকে তাদের নিজেদের সামর্থ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়ার সুযোগ করে দিতে পেরে আমরা আনন্দিত।”
জাইকার প্রধান আবাসিক প্রতিনিধি তাকায়ো তোদা বলেন, “এ প্রতিযোগিতায় যারা পুরোপুরি সফল হতে পারেননি তাদের মনে রাখতে হবে, অকৃতকার্য হলে তা আরো বড়ো সাফল্যের দিকে নিয়ে যেতে পারে। আর যারা সফল হয়েছেন তাদেরকে পরবর্তী বৃহত্তর সাফল্যের জন্য আরো কঠোর সাধনা করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে শিক্ষাসচিব কামাল আব্দুল মোহাম্মদ চৌধুরী ও বুয়েটের যন্ত্রপ্রকৌশল বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. এহসান উপস্থিত ছিলেন।