গ্রাহকদের জন্য মোবাইল ফোন নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলানোর সুযোগ করে দিতে উদ্যোগ নিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।
Published : 17 May 2015, 08:39 PM
এজন্য মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) সুবিধা চালু করতে বিটিআরসি একটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেবে বলে জানিয়েছেন সংস্থার চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস।
এমএনপি সুবিধা চালুর বিষয়ে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি পেলেই কাজ শুরু হবে বলে রোববার সাংবাদিকদের জানান জানান বিটিআরসি প্রধান।
নম্বর না বদলে গ্রাহকদের অন্য অপারেটরে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে ২০১৩ সালে জুনে মোবাইল ফোন অপারেটরদের নির্দেশ দেয় বিটিআরসি।
বিটিআরসি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলরে কবে নাগাদ এমএনপি চালু হচ্ছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, “যখন অপারেটরদের ২জি লাইসেন্স নবায়ন করা হয়েছিল তখন গাইডলাইনে লেখা ছিল অপারেটররা মিলে এমএনপি চালু করবে।
“কিন্তু তারা সঠিক সময়ে চালু করতে পারেনি। বিভিন্ন অসুবিধার কথা বলেছে, তাদেরকে সময় দেওয়ার পরও তারা ব্যর্থ হয়েছে। এখন আর তাদের সময়ে দেওয়া সম্ভব নয়।
“বিটিআরসির তত্ত্বাবধানে এমএনপি হবে। এজন্য আমরা নতুন গাইডলাইন তৈরি করে সরকারের কাছে দিয়েছি। সরকারের কাছে অনুমোদিত হয়ে এলে এটার টেন্ডার এবং লাইসেন্স হবে। যে লাইসেন্স পাবে সে এটাকে অপারেট করবে।”
২০১৩ সালে অপারেটরদের এমএনপি সুবিধা বাস্তবায়ন করার বিষয়ে দেওয়া ওই নির্দেশনায় বলা হয়, এমএনপি সুবিধা দিতে অপারেটরা গ্রাহকদের কাছ থেকে ৫০ টাকার বেশি নিতে পারবে না। সাত মাসের মধ্যেই গ্রাহকদের এই সুবিধা দিতে হবে।
আর এ নির্দেশনা জারির তিন মাসের মধ্যে অপারেটরদের এমএনপি সেবা শুরু করার জন্য একটি কনসোর্টিয়াম গঠন করতেও বলা হয়েছিল। প্রি-পেইড ও পোস্ট পেইড উভর ধরনের গ্রাহকই এমএনপি সুবিধা পাবে বলে বলা হয়েছিল।
দীর্ঘ দিন ব্যবহারের ফলে মোবাইল নম্বর একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পরিচয়রূপে পরিণত হয়। আবার বিভিন্ন অফার আর ভাল নেটওয়ার্ক এবং সুলভ মূল্যে টেলিযোগাযোগ সেবা পেতে প্রায়ই গ্রাহকদের এক অপারেটরকে বাদ দিয়ে অন্য অপারেটররের সংযোগ নিতে হয়।
এ অবস্থায় গ্রাহকের ক্ষমতায়নের জন্য পোস্টিং সার্ভিস প্রচলন এবং পরিচালনা পদ্ধতি বিষয়ে নির্দেশনাবলী প্রণয়ন করতে বিটিআরসি প্রায় এক বছর ধরে কাজ করে অপারেটরদের ওই নির্দেশনা দেয়।
বর্তমানে ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশ ছাড়াও প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানে মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি পরিসেবা চালু রয়েছে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির হিসাবে গত মার্চ মাস নাগাদ দেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৯০ হাজার।