তৈরি পোশাক কারখানাগুলো সচল রেখে পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে দিতে সরকারি পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি এই দাবি করেন।
লাগাতার অবরোধে রপ্তানি বাণিজ্যে প্রতিদিন ৬৯৫ কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীদের দাবির মধ্যে প্রতিমন্ত্রীর এই বক্তব্য এল।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে ‘পোশাক খাতের ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটি’র সভা শেষে মুজিবুল সাংবাদিকদের বলেন, “গত ১৫ দিনে অবরোধ ও চোরাগোপ্তা হামলার পরও এক্সপোর্ট ওরিয়েন্টেড খাত বিশেষ করে গার্মেন্টস সেক্টরে এতে কোনো বড় ধরনের অ্যাফেক্ট হয়নি।
“শ্রমিক ভাইদের সহযোগিতায় আমাদের গার্মেন্টস সেক্টরে ভালো অবস্থায় রয়েছে এবং সমস্ত ফ্যাক্টরিতে কাজ চলছে। সরকারের পক্ষ থেকে পাহারা দিয়ে গাড়িগুলো আমরা বন্দরে পৌঁছে দিতে পেরেছি।”
গত ৫ জানুয়ারি থেকে লাগাতার অবরোধে বিভিন্ন মহাসড়কে বিক্ষিপ্তভাবে যানবাহন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চলছে। এতে পণ্য পরিবহনে গাড়িভাড়া দ্বিগুণ দিতে হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা বলছেন।
শ্রমিক ছাঁটাই না করার আহ্বান
চলমানে রাজনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের মতো সিদ্ধান্ত না নিতে মালিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক।
শ্রমিকদের সমস্যা থাকলে বিশৃঙ্খলা না করে তা সরকারকে জানাতে নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বিদেশের ‘দালালী’ করা শ্রমিক নেতাদের হুঁশিয়ার করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “কিছু শ্রমিক নেতা আছে, মনে হয় অধিকার আদায় নয়, এরা কারখানা ধ্বংস করার জন্য আন্দোলন করেন।
“আমাদের শ্রমিকরা মার খেলে আমরা জানি না। তার আগেই এ বিষয়ে বিদেশ থেকে চিঠি পাই। কিছু নেতা বিদেশিদের দালালী করে এ সব জানায়। এ ঔদ্ধত্য সহ্য করা হবে না।”
পোশাক খাতে যেন অস্থিতিশীলতা না আসে সেজন্য মালিক-শ্রমিক সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও বিশেষ নজর রাখতে বলেছেন প্রতিমন্ত্রী।
শ্রমিকদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করতে শিল্প মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ২ শতাংশ সুদে ঋণ পাওয়ার সুযোগের কথাও জানান তিনি।