গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব আগে থেকেই ছিল বিইআরসির কাছে, এ নিয়ে শুনানিও হয়েছিল, তবে ভোটের আগে এনিয়ে আর এগোয়নি সরকার।
Published : 18 Feb 2014, 09:17 PM
এখন বিদ্যুতের দাম নিয়ে নতুন করে শুনানির উদ্যোগের মধ্যে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে এগোচ্ছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
বিইআরসি সদস্য সেলিম মাহমুদ মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, খুচরা বিদ্যুতের দামের বিষয়ে এই মাসের মধ্যে শুনানি হবে। আর গ্যাসের দাম নিয়ে শুনানি দুই মাসের মধ্যে হতে পারে।
বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর দিকে ইঙ্গিত দিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এই খাতে ভর্তুকির চাপের কথা তুলে ধরেন। গ্যাসের ক্ষেত্রে সিস্টেম লস ও দাম সমন্বয়ের কথা বলেন তিনি।
অপেক্ষাকৃত বেশি মূল্যের তেলভিত্তিক ভাড়া বিদ্যুতের ওপর নির্ভরতা বাড়ার পর গত পাঁচ বছরে খুচরা ও পাইকারি মিলিয়ে ১১ দফা বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়।
তারপরও বিদ্যুৎ খাতে সরকারের ভর্তুকি দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা।
সর্বশেষ ২০১২ সালে ডিসেম্বরে খুচরা বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হলেও জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে সরকার।
২০১২ সালে সেপ্টেম্বরে খুচরা বিদ্যুতের দাম ১৫ শতাংশ এবং পাইকারির দাম ১৭ শতাংশ বাড়ানো হয়।
পুনরায় দাম বাড়লে বিদ্যুতের ১ কোটি ৪২ লাখ গ্রাহককে বাড়তি অর্থ গুণতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিইআরসির কাছে প্রস্তাব জমা আছে। বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে কি না, সে বিষয়ে একমাসের মধ্যেই সিদ্ধান্ত হবে।
আবাসিক, শিল্প ও বাণিজ্য সংযোগসহ গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের শুনানিও ‘অদূর ভবিষ্যতে’ হবে বলে জানিয়েছেন সেলিম মাহমুদ।
“পেট্রোবাংলার একটা প্রস্তাব আমাদের কাছে আছে, হয়ত আগামী দুই-এক মাসের মধ্যে হতে পারে।”
গ্যাসের বিষয়ে নসরুল হামিদ বলেন, “গ্যাসের বিষয়েও একটা চিন্তাভাবনা আছে। দুই চুলা ৪৫০ টাকা। অনেকে অবৈধ কানেকশন নিচ্ছে। ওদিকে সিলিন্ডারের গ্যাসেরও দাম বেশি।
“একটা সমন্বয় করা যায় কি না, দেখা দরকার,” বলেন প্রতিমন্ত্রী।
সর্বশেষ ২০০৯ সালে গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের দাম ৫০ টাকা করে বাড়ানো হয়। বাণিজ্যিক সংযোগেও দাম বাড়ে।
এবার পাইপ লাইনে গ্যাসের দাম বাড়াবেন, না কি সিলিন্ডারের দাম কমাবেন- জানতে চাওয়া হলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমরা দুইটাই চিন্তাভাবনা করছি। কী করা যায়।
“আল্টিমেটলি তো গ্রাহককে সেবা দিতে হবে, তাদের ওপর যেন প্রেসার না পড়ে।”
তবে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত যাই হোক, তা দুই-এক মাসের মধ্যে করে ফেলতে চান প্রতিমন্ত্রী।