পুলিশের নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগ

রাজশাহী নগরীতে পুলিশের নির্যাতনে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 July 2015, 12:33 PM
Updated : 5 July 2015, 12:33 PM

রোববার ভোরে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে মারা যান নগরীর বুলনপুর এলাকার জনি।

কারা কর্তৃপক্ষের দাবি, জনি ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে, পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে।

রাজশাহী নগরীর বুলনপুর ঘোষপাড়ার মুক্তার হোসেন ভুট্টুর ছেলে জনি অটোরিকশা চালক ছিলেন।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার শাহাদাত হোসেন বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় অসুস্থ অবস্থায় জনিকে কারাগারে পাঠানো হয়। ‘মহানন্দা’ ওয়ার্ডের ৪ নম্বর কক্ষে তাকে রাখা হয়েছিল।

রোববার ভোর ৫টা ২৫ মিনিটে জনি গলায় গামছা লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সেখানে নেওয়ার ১৫ মিনিট পর তার মৃত্যু হয়।

তিনি জানান, জনিকে যখন কারাগারে নেওয়া হয়েছিল তখন হাসপাতালের সহকারী সার্জন না থাকায় তাকে চিকিৎসা দেওয়া যায়নি।

জনির ভাই রনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাজশাহী পুলিশ লাইনের বিকাশ কুমার নামের এক কনস্টেবলের স্ত্রীর স্বর্ণের চেইন হারিয়ে যায়।

ওই চেইন চুরির অভিযোগে সন্দেহজনকভাবে শনিবার ভোরে জনিকে ধরে নিয়ে পুলিশ লাইন গেটের সামনে প্রকাশ্যে মারধর করেন কনস্টেবল বিকাশ।

এ সময় তিনিও সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলে জানান রনি।

রনি আরও বলেন, নির্যাতনে জনি অসুস্থ হয়ে পড়লে কনস্টেবল বিকাশ থানায় খবর দেন।

পরে রাজপাড়া থানা পুলিশ তাকে নিয়ে গিয়ে কোনো  চিকিৎসা না দিয়ে থানা হাজতে রাখে। সেখান থেকে দুপুরে একটি চুরি মামলায় আসামি করে জনিকে আদালতে চালান দেয়।

কনস্টেবল বিকাশের নির্যাতনে জনির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন ভাই রনি।

জনির মা সেলিনা অভিযোগ করেন, সন্দেহ করে তার ছেলেকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে।

জনির প্রতিবেশী আমেনা খাতুন বলেন, জনি চোর নয়। তিনি অটোরিকশা চালাতেন। তার মা তাকে অটোরিকশা কিনে দিয়েছিলেন।

শত্রুতার কারণে তার উপর স্বর্ণের চেন চুরির দায় চাপিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

রাজপাড়া থানার ওসি মেহেদী হাসান বলেন, জনি এলাকার চিহ্নিত চোর। অনেক চুরির সঙ্গে জড়িত।

গত ২৭ জুন একটি মোটরসাইকেল চুরির মামলায় (মামলা নং ৪৮) গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।

থানায় নেওয়ার আগে তাকে নির্যাতন করা হয়েছিল কিনা তার জানা নেই বলে জানান তিনি।