হাওড় এলাকার বোরো চাষ নির্বিঘ্ন করতে যন্ত্রের মাধ্যমে চারা রোপণ ও ফসল কাটতে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে যন্ত্র সরবারহ করবে সরকার।
Published : 01 Jul 2015, 06:20 PM
১০ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় হাওর এলাকার ২৭৫টি ইউনিয়নে একটি করে ফসল কাটার যন্ত্র ‘রিপার’ এবং ১০০টি ইউনিয়নে একটি করে ফসল রোপণের যন্ত্র ‘রাইস প্লান্টার’ সরবারহ করবে।
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হাওড় এলাকার বোরো চাষিদের জন্য বিশেষ এই প্রণোদনার তথ্য তুলে ধরেন।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ‘রিপার’ ব্যবহার করে ৭৫ মিনিটে এক একর জমির ধান বা গম কাটতে পারবেন কৃষকরা। আর ‘রাইস প্লান্টার’ দিয়ে ৯০ মিনিটে এক একর জমিতে ধান রোপণ করা যায়।
গত অর্থ বছরের জন্য বরাদ্দকৃত মন্ত্রণালয়ের ‘কষি পুনর্বাসন সহায়ক’ খাত থেকে এই অর্থ সরবারহ করা হচ্ছে বলে জানান মতিয়া।
তিনি বলেন, যন্ত্রগুলো চালাতে এক হাজার কৃষক, ৪২০ জন চালক/মেকানিক, ৫০০ জন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং ৬০ জন কৃষি কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
“উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা কৃষি পুনর্বাসন ও বাস্তবায়ন কমিটি যন্ত্র সরবারহের জন্য কৃষক দল নির্বাচন করবে।”
হাওড় এলাকার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পরিচালিত এই কৃষক দল কৃষকদের ব্যবহারের জন্য যন্ত্র বরাদ্দ দেবে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, যন্ত্রগুলো উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে থাকবে।
সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৫৭টি উপজেলার ২৭৪টি ইউনিয়নে ৩৭৩টি হাওড় আছে।
হাওড় অঞ্চলে নয় দশমিক ১৯ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়। প্রতি হেক্টরে তিন দশমিক ৮৭ মেট্রিকটন ধানের ফলন হয়।
কৃষি সচিব শ্যামল কান্তি ঘোষ ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের অন্য কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।