মঙ্গলবার সচিবালয়ে শিল্প কারখানার মালিক ও শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে সরকারের ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের বৈঠকে এ তথ্য জানান তিনি।
২০১৩ সালের ১৫ জুলাই বহুল আলোচিত সংশোধিত শ্রম আইন জাতীয় সংসদে পাস হয়। আইন পাসের দুই বছর পর এর অধীনে বিধিমালা চূড়ান্ত হল।
আশুলিয়ার তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ডে শতাধিকের পর সাভারে রানা প্লাজা ধসে সহস্রাধিক শ্রমিকের প্রাণহানির ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলের অসন্তোষের মুখে শ্রম আইনে সংশোধন আনে সরকার।
গত বছরের মার্চে শ্রম প্রতিমন্ত্রীকে সভাপতি করে মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের ২০ জন করে প্রতিনিধি নিয়ে ৬২ সদস্যের ত্রিপক্ষীয় পরামর্শক পরিষদ পুনর্গঠন করে সরকার।
বিধিমালায় ৩৪৯টি বিধি রয়েছে জানিয়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, মালিক, শ্রমিক ও সরকারের প্রতিনিধি সমন্বয়ে ত্রিপক্ষীয় পরিষদের সভায় সর্বসম্মতভাবে বিধিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে।
আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে শিগগিরই গেজেট আকারে বিধিমালাটি জারি করা হবে বলে জানান চুন্নু।
“শ্রম আইনে যেসব বিষয় রয়েছে বিধিমালায় তা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সব বিষয়ই বিধিমালায় রাখা হয়েছে,” বলেন তিনি।
বাংলাদেশ থেকে ব্যবসায়ীরা যত টাকার রপ্তানি করবেন তার শূন্য দশমিক শূন্য তিন (০.০৩) শতাংশ টাকা বাধ্যতামূলকভাবে শ্রমিকদের কল্যাণে দেওয়ার বিধান বিধিমালায় রাখা হয়েছে বলে জানান শ্রম প্রতিমন্ত্রী।
বিধিমালা চূড়ান্তে এর আগে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেছে শ্রম মন্ত্রণালয়।
শ্রম সচিব মিকাইল শিপার, বিজিএমইএ’র সভাপতি আতিকুল ইসলাম ছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি, শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি ছাড়াও শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।