শয়ন কক্ষে ঘুমন্ত অবস্থায় খুন হয়েছেন সিরাজগঞ্জ শহর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম রেজা সুজন।
Published : 01 Jun 2015, 11:40 PM
সোমবার সন্ধ্যায় এই হত্যাকাণ্ডের পর সুজনের (৩৫) স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সুজন শহরের মালশাপাড়া মহল্লার আব্দুস সামাদের ছেলে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি উদ্ধার করেছে।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বিভিন্ন মামলার কারণে সুজন গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে থাকছিলেন। রাতে মাঝে-মধ্যে লুকিয়ে বাড়িতে ফিরতেন।
এছাড়া সুজন নেশা করতেন জানিয়ে তার চাচি নার্গিস বেগম সাংবাদিকদের বলেন, “এসব নিয়ে স্ত্রী তিথির সঙ্গে সুজনের ঝগড়া লেগেই থাকত।”
তার দাবি, ভাড়াটে খুনি দিয়ে তিথিই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
তিথিকে উদ্ধৃত করে সদর থানার ওসি হাবিবুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “সাড়ে ৭টার দিকে প্রাইভেট পড়ে ঘরে ফিরে সুজনের মেয়ে বাড়ির দরজার নিচ দিয়ে রক্ত বের হতে দেখে। ওই সময় তিথিও বাড়ি ফেরেন। তারা ঘরে ঢুকে সুজনের গলাকাটা দেহ পড়ে থাকতে দেখেন।”
তিথি সাংবাদিকদের বলেন, “সন্ধ্যা ৭টার পর আমার মোবাইলে ফোন করে সুজনকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। তখন আমি বাড়ির বাইরে গিয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছিলাম। ফিরে দেখি, আমার স্বামীকে কে বা কারা গুরুতর জখম করে বাড়ির পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গেছে।”
ঘরের পেছনের পুকুরের ঢালে চাপাতিটি পাওয়া যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ওসি বলেন, কুপিয়ে ও গলা কেটে পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান সুজন।
রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে লাশ থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। সঙ্গে তিথিকেও আটক করে আনা হয়।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। খুনি শনাক্তে কাজ চলছে বলে ওসি জানান।