শনিবারের উপজেলার চকমহব্বতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ হামলায় আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফসার আলী, তার দুই ছেলে আনোয়ার হোসেন ও সানোয়ার হোসেন।
বাগমারা থানার ওসি মতিয়ার রহমান জানান, হামলায় ঘটনায় উপজেলার গণিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি হারুণ অর রশিদ, বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য বাবুল হোসেন ও ইনতাজ আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে এলাকাবাসী দিনভর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করলে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শনিবার সকাল ৯টার দিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফসার আলীর সঙ্গে যোগদান করতে আসেন সদ্য নিয়োগ পাওয়া সহকারী শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম, মাহাবুর রহমান ও অফিস সহকারী আমিরুল ইসলাম।গোপনে ওই শিক্ষকদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে এ অভিযোগ তুলে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির কয়েকজন সদস্যসহ স্থানীয়রা তাদের ধাওয়া দিয়ে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়।
এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক আফসার আলী ও তার দুই ছেলে আনোয়ার হোসেন এবং সানোয়ার হোসেন মারধর করে তারা।
পরে পুলিশ এলাকাবাসীদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া তিন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ বাতিলের দাবিতে এলাকাবাসী এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করেন বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য নায়েব আলী।
তবে নিয়ম মেনেই তাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে দাবি করেন বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি কামরুল হাসান সুজন।
নিজেদের পছন্দের লোক নিয়োগ দিতে না পেরে আওয়ামী লীগ নেতা হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে এলাকাবাসী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের উপর হামলা করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।