বর্ষা এখনও আসেনি। ফরিদপুর সদরের কয়েকটি এলাকায় ইতোমধ্যে পদ্মা নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে অন্তত তিনটি ইউনিয়নের ঘরবাড়ি, গাছপালা, ফসলি জমিসহ বহু স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে।
Published : 28 May 2015, 03:54 PM
সদর উপজেলার চরাঞ্চলের ভাঙনপ্রবণ নর্থ-চ্যানেল, ডিগ্রীরচর ও আলীয়াবাদ ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে এবার গ্রীষ্মের মাঝামাঝি সময়েই ভাঙন শুরু হয়।
গত এক মাসে এসব এলাকার ফসলি জমি ও গাছ-গাছালিসহ অন্তত ৩০টি বসতভিটা নদীতে তলিয়ে গেছে। শতাধিক পরিবার তাদের ঘর-বাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে।
এলাকার মানুষ আতংকে দিন কাটাচ্ছে। জরুরিভাবে বালুর বস্তা ও সিসি ব্লক ফেলে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম তালুকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন “আমি ফরিদপুরে নতুন যোগদান করেছি। পদ্মা নদীর ফরিদপুর অংশের যেসব স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে সেসব জায়গায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পেলেই তারা কাজ শুরু করবেন বলে জানান তিনি।
নদী পাড়ের বাসিন্দা মজিবুর শেখ, মরিয়ম বেগম, মোস্তাক তালুকদারসহ অনেকেই জানান, গত ১৫ দিনে নর্থ-চ্যানেল ইউনিয়নের মৃধাডাঙ্গী গ্রামে বেশ কয়েকটি বাড়ি পদ্মা নদীতে চলে গেছে। আকস্মিক ভাঙনের কারণে অনেকেই ভিটা-মাটি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে।
পদ্মার ভাঙন রোধে দ্রুত কাজ করার দাবি জানান তারা।
নর্থ-চ্যানেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তাকুজ্জমান বলেন, বর্ষা মৌসুমের আগেই হঠাৎ পদ্মার পানি বৃদ্ধির ফলে নর্থ-চ্যানেল ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে দাবি জানান তিনি।
একই কথা বলেন ডিগ্রীর চর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাদিকুজ্জামান মিলন পাল।