এই ঘটনায় অবৈধভাবে বন্য প্রাণী সংরক্ষণের অভিযোগে ওই দুই খামারের দুই মালিককে সাড়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার বিকালে র্যাব-১১ একটি দল এ উদ্ধার অভিযান চালায়। পরে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসানের ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের বিচার করা হয়।
দণ্ডিতরা হলেন বন্দরের লক্ষণ খোলা এলাকার মৃত ইয়াদ আলীর ছেলে মো. ইমদাদুল ইসলাম (৩৬) এবং একই উপজেলার উত্তর লক্ষণ খোলা এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে মাসুম শেক।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্দর উপজেলার উত্তর লক্ষণ খোলা (তালতলা) গ্রামে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত মো. ইমদাদুল ইসলামের মালিকানাধীন নূর জাহান কটন মিল লি. সংলগ্ন আধাপাকা একটি ঘর থেকে চারটি বড় হরিণ এবং দুইটি হরিণ শাবক উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া মাসুম শেকের বাড়ি থেকে ১৫টি বড় হরিণ এবং ছয়টি হরিণ শাবক উদ্ধার করা হয়।
পরে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসানকে অবহিত করলে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন এবং উদ্ধার করা হরিণগুলো গাজীপুর জেলার বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে পাঠানোর আদেশ দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অবৈধভাবে হরিণ আটকে রাখার অভিযোগে বন সংরক্ষণ আইনে ইমদাদুল ইসলামকে দেড় লাখ টাকা ও মাসুম শেককে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।