মঙ্গলাবার দুপুরে নড়াইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবুল বাশার মুন্সী এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত রিপন শেখ (২৮) লোহাগড়া উপজেলার রাজুপুর গ্রামের মৃত কুতুব উদ্দিন শেখের ছেলে। তিনি পলাতক রয়েছেন।
একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর বিকালে রিপন নড়াইল সদর উপজেলার ধুড়িয়া গ্রামের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ের কথা বলে লোহাগড়া উপজেলার কচুবাড়িয়া গ্রামের বিবাহ নিবন্ধক কবিরের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে একটি কাগজে দুইজন স্বাক্ষর করে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বলে মেয়েটিকে জানায়।
ওই দিন রাতেই রিপন মেয়েটিকে ভারতে পাচারের জন্য বেনাপোলে নিয়ে আটকে রাখে এবং ধর্ষণ করে। পাচারের বিষয়টি বুঝতে পেরে ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে কৌশলে পালিয়ে অন্য একটি বাড়িতে আশ্রয় এবং
রাতেই বাড়িতে ফিরে বিষয়টি মা-বাবাকে জানায় মেয়েটি।
ওই বছরের ৫ অক্টোবর মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে রিপন শেখকে আসামি করে নড়াইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবি উত্তম ঘোষ বলেন, পাঁচ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রিপন শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত।