বরগুনা ফায়ার স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক মনোরঞ্জন সরকার জানান, সোমবার রাত সোয়া ১০টার দিকে ওই মার্কেটে আগুন লাগার পর তাদের দুটি ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে আমতলী ফায়ার স্টেশন থেকে আরও একটি ইউনিট যোগ দেয়।
“প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় রাত দেড়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।”
কিন্তু তার আগেই ‘বে-অব বেঙ্গল’ নামে একটি রেস্তোরাঁসহ মোবাইল ফোন, পোশাক, ইলেক্ট্রনিক্স ও মনোহারিসহ বিভিন্ন পণ্যের দেড়শতাধিক দোকান ও মালামাল পুড়ে যায়।
পৌর মেয়র মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, “আগুনে দেড় শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। এতে তিন কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”
জেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মাদ ইব্রাহিম ও সদর পিআইও রনজিত কুমার সরকারকে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে বরগুনা জেলা প্রশাসক মীর জহুরুল ইসলাম জানান।
ক্ষতিগ্রস্তদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের মনোরঞ্জন সরকার জানান, কোনো একটি দোকানের বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
দগ্ধদের মধ্যে ‘বে-অব বেঙ্গল’ রেস্তোরাঁর কর্মচারী রাসেল ও মামুন নামের আরেকজনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ফায়ার সার্ভিসকর্মী আবুল কাসেম প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এদিকে এই অগ্নিকাণ্ডের খবরে ক্ষতিগ্রস্ত এক ব্যবসায়ীর স্ত্রী রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। রিয়া নামের ওই গৃহবধূকেও সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে মনোরঞ্জন সরকার জানান।