ভোটের মাঠেও তাদের কেউ ছিল না: প্রধানমন্ত্রী

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের সমর্থন দিয়ে বিএনপি নেতারা প্রচার চালালেও ভোটের দিন তাদের প্রতিনিধিরা মাঠে ছিলেন না- বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 May 2015, 02:48 PM
Updated : 2 May 2015, 03:30 PM

নির্বাচন ঘিরে বিএনপির হয়তো ‘আরো খারাপ উদ্দেশ্য’ ছিল মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি।

বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তাদের (বিএনপি) হয়তো আরো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল।কিন্তু আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলো তৎপর ছিল। সেই জন্য তারা আরো কয়েকটি লাশ ফেলে প্রত্যাহার করে নাই।”

ভোটের দিন বিভিন্ন কেন্দ্রে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের এজেন্ট না থাকার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “আন্দোলনের মাঠে যা করল, নির্বাচন করতে এসেও তাই করল।উনারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, ঘোষণা দিয়ে সব কিছু করল, কিন্তু তারা মাঠে নেই। তাদের প্রতিনিধি নাই, এজেন্ট নাই, কিছুই নাই।

“তিন ঘণ্টা পর সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করল।”

গত ২৮ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ, উত্তর ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে বেলা ১২টার দিকে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা।

শনিবার বিকালে গণভবনে ধর্ম মন্ত্রণালয় এবং বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী।

৫ জানুয়ারি থেকে বিএনপি-জামায়াত জোটের প্রায় তিন মাসের বেশি সময়ের অবরোধ ও হরতালে গাড়িতে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ, অগ্নিসংযোগ ও হাতবোমা বিস্ফোরণসহ নাশকতার নানা ঘটনায় শতাধিক সাধারণ মানুষের প্রাণহানির কথাও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, “মানুষের কত মানসিক বিকৃতি হলে এই ধরনের ঘটনা ঘটায়। আন্দোলন ডেকে উনারা ঘরে বসে আছে। মাঠে কেউ নাই। চোরাগোপ্তা ককটেল মারছে, আগুন দিয়ে পোড়াচ্ছে। মানুষ হত্যা করাই তাদের একমাত্র কাজ।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ তাদের অধিকার নিয়ে বসবাস করবে।

“ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।”

২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধ বসতিতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা নতুন করে বৌদ্ধ বিহার তৈরি করে দিয়েছি।

“এতে করে আপনাদের আঘাত কিছুটা হলেও প্রশমিত হয়েছে।”

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।