সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রতীক নিয়ে শুধু সমালোচনা নয়, নির্বাচন কমিশনকে ‘ঝামেলাও’ পোহাতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহ আলম।
Published : 29 Apr 2015, 05:15 PM
মঙ্গলবার ভোটগ্রহণের পর রাত ৩টা থেকে উত্তরের কাউন্সিলর পদে কে কত ভোট পেয়েছেন তা তুলে ধরে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা শুরু করেন তিনি।
মেয়রপ্রার্থীদের কেন্দ্রভিত্তিক ফল ঘোষণার ফাঁকে ফাঁকে কাউন্সিলর প্রার্থীদের ফল জানাচ্ছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
ভোর সাড়ে ৪টার পর থেকে মেয়রপ্রার্থীদের ফল ঘোষণায় দেরি হওয়ায় ভোর ৫টার দিকে আবার কাউন্সিলর প্রার্থীদের ফল জানাতে শুরু করেন শাহ আলম।
এ সময় তিনি কাউন্সিলর প্রার্থীদের নাম বলে প্রাপ্তভোট জানালেও কারও প্রতীক উল্লেখ করছিলেন না।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রিটার্নিং কর্মকর্তার অস্থায়ী কার্যালয়ে কাউন্সিলর প্রার্থীর নামের সঙ্গে তাদের প্রতীকও উল্লেখ করে ফল ঘোষণার দাবি তোলেন সাংবাদিকরা।
কোন প্রতীক নিয়ে কে কত ভোট পেয়েছেন তা জানাতে গিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, “আনোয়ারা বেগম মোড়া..., আলেয়া সারোয়ার ডেইজী মুলা..., ফারজানা হোসেন কলি শিল-পাটা..., বিউটি চৌধুরী বৈয়ম...ভোট।”
“মর্জিনা খান পান পাতা..., ফিরোজা বেগম স্টিল আলমারি..., মরিয়ম আক্তার পিঞ্জর..., রুনা লায়লা রুনা টিস্যু বক্স..., লুৎফুন্নেছা সোনালী কেটলি..., শিরিন আক্তার রত্না টিয়া পাখি..., হালিমা বেগম গ্লাস...”- এভাবে নারী প্রার্থীদের নামের সঙ্গে প্রতীকজুড়ে তথ্য জানাচ্ছিলেন শাহ আলম।
ভোর ৫টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তার মুখে এভাবে নামগুলো শুনে হাসির রোল পড়ে যায় ফল ঘোষণা কেন্দ্রে; জেগে উঠেন ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়া অনেকেই।
কথা থামিয়ে সবার সঙ্গে হেসে ওঠেন পরিশ্রান্ত রিটার্নিং কর্মকর্তাও।
তিনি বলেন, “প্রতীকের নাম শুনে হাসছেন, না? শোনেন মুলা প্রতীক নিতে অনেকেরই আপত্তি ছিল, এটা গছাইতে অনেক কষ্ট হইছে। লটারিতে মুলা প্রতীক পেয়ে কেউ কেউ মন খারাপ করছেন।”
তবে সেই মুলা প্রতীক নিয়েই ১০ হাজার ৬১০ ভোট পেয়ে সংরক্ষিত ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন ডেইজী।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ডেইজী পানপাতা প্রতীক চেয়ে না পেয়ে পরে লটারিতে মুলা প্রতীক পান। এই প্রতীক নিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট চাইতে গিয়েও অস্বস্তিতে পড়তে হয় তাকে।
ভোটের প্রচার চলার মধ্যেই প্রতীক নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “মুলা কোনো প্রতীক হতে পারে না। এটা যারা সিলেকশন করেছেন তারা কাণ্ডজ্ঞানহীন।”