শুক্রবার দিনভর রানা প্লাজার সামনে এ সকল কর্মসূচি পালিত হয়।
সকালে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের সদস্য এবং নিহত ও নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজনেরা রানা প্লাজার সামনে নির্মিত অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে ভবন ধসের ঘটনার জন্য দায়ীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে শ্রমিক সংগঠনগুলো।
মিছিল পরবর্তী এক সমাবেশে রানা প্লাজা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এমদাদুল হক বলেন, এ ভবন ধসের ঘটনা নিছক কোনো দুর্ঘটনা নয়, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিও জানান তিনি।
এ সময় কয়েকজন নিখোঁজ শ্রমিকের স্বজন অভিযোগ করেন, নিহত ও আহত শ্রমিকদের কথা সবাই বলছে, সাহায্য দিচ্ছে।
অথচ নিখোঁজ শ্রমিকদের পরিবারের সহায়তায় এখনও কেউ এগিয়ে আসেনি, কেউ তাদের খোঁজও নেয়নি।
সমাবেশে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান খাঁন বলেন, রানা প্লাজা ধসের দুই বছর হলো আজ। এখন পর্যন্ত ভবন ধসের সঙ্গে জড়িতদের বিচার করেনি সরকার।
অবিলম্বে জড়িতদের বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবিও করেন তিনি।
এ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি মন্টু ঘোষ, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, আজম খাঁন প্রমুখ।
এর আগে ঢাকার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, শিল্প পুলিশের পরিচালক, ফায়ার সার্ভিস, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি, শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম, গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, বাংলাদেশ শ্রম অধিকার ফোরাম, বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল গামের্ন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, রানা প্লাজা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সমিতিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করে।