সাভারের আশুলিয়ায় বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকে ডাকাতি ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে।
Published : 22 Apr 2015, 03:17 PM
আশুলিয়া থানার ওসি মোস্তফা কামাল জানান, বুধবার সকালে ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার ফরিদুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি এবং আশুলিয়া থানার এসআই জাকারিয়া হোসেন অন্য মামলাটি দায়ের করেন।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষের করা মামলায় সাতজনকে হত্যা এবং ব্যাংকের ভল্ট খুলে ছয় লাখ ৮৭ হাজার ১৯৩ টাকা লুটের অভিযোগ আনা হয়েছে। গ্রেপ্তার দুই ডাকাত সদস্য সাইফুল ও বোরহান উদ্দিনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৮/১০ জনকে আসামি করা হয়েছে এজাহারে।
অপর মামলায় এক ডাকাত সদস্যকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় ২০০/৩০০ গ্রামবাসীকে আসামি করা হয়েছে বলে মামলার বাদী এসআই জাকারিয়া হোসেন জানান।
মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে আশুলিয়ায় বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের কাঠগড়া শাখায় অস্ত্র ও বোমা নিয়ে ডাকাতরা হানা দেয়। তারা ব্যাংকের ব্যবস্থাপক, নিরাপত্তারক্ষীসহ তিনজনকে হত্যা করে ক্যাশ থেকে টাকা নিয়ে পালানোর সময় স্থানীয়রা প্রতিরোধ করে।
এ সময় ডাকাতদের গুলি ও বোমায় আরও তিনজন নিহত হন। জনতার ধাওয়ার মুখে সন্দেহভাজন ডাকাতদের দুজন মোটর সাইকেল থেকে পড়ে গেলে তাদের একজন গণপিটুনিতে নিহত হন। আটক হন সাইফুল নামে আরেকজন।
এছাড়া ঘটনার পরপর পুলিশের একটি দল ডাকাত দলের আরেক সদস্য বোরহান উদ্দিনকে আটক করে। পরে রাতে তাকে থানায় হাজির করে বুধবার সকালে ব্যাংক কর্মকর্তার দায়ের করা মামলায় আসামি করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ডাকাতরা ছয় লাখ ৮৭ হাজার ১৯৩ টাকা লুট করে নিয়ে যাচ্ছিল। এর মধ্যে ছয় লাখ সাত হাজার ২৫৫ টাকা ঘটনার পরপরই উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সোহেল রানা নামে ব্যাংকের এক নিরাপত্তা কর্মীকে মঙ্গলবার গভীর রাতে আশুলিয়ার দুর্গাপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে আশুলিয়ার ওসি মোস্তফা কামাল জানান।
তিনি বলেন, “সোহেল ডাকাত হানা দেওয়ার আধা ঘণ্টা আগে ব্যাংক থেকে বের হয়ে আর আসেননি। এ ঘটনায় পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।”
এছাড়া ডাকাতদের গ্রেপ্তারে আশুলিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক দল অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।