মঙ্গলবার সকালের দিকে উপজেলার আটমাইল এলাকায় পাবনা-ইশ্বরদী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে সদর থানার ওসি আহসানুল হক জানান।
নিহতরা হলেন- অটোরিকশার চালক মনির হোসেন (৩০) এবং দুই আরোহী রহীমা (৫৫) ও জলি খাতুন (২৮)। তাদের বাড়ি ঈশ্বরদীর ফতেহ মোহাম্মদপুর এলাকায়।
আহতরাও সবাই অটোরিকশার আরোহী ছিলেন। তাদের প্রথমে পাবনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হলেও দুজনকে পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ওসি আহসানুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাস্তায় যাত্রী নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশাটিকে সামনে থেকে এসে সজোরে ধাক্কা দেয় ঈশ্বরদী থেকে শাহজাদপুরমুখী সোনার বাংলা পরিবহনের বাসটি। এতে ঘটনাস্থলেই অটো চালকসহ তিন জনের মৃত্যু হয়।
স্থানীয় দাপুনীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসান ইমাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকেরা অটোরিকশাটি থামিয়ে তল্লাশি করছিলেন। তারা অন্যদিক থেকে দ্রুত বেগে আসা বাসটিকেও থামার সংকেত দেন। কিন্তু গতি বেশি থাকায় বাসের চালক ব্রেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারান। এরপর বাসটি অটোরিকশাকে মুখোমুখী ধাক্কা দেয়।”
দুর্ঘটনার পর মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উদ্ধারের চেষ্টা না করে তাদের মাইক্রোবাস নিয়ে দ্রুত এলাকা ত্যাগ করেন বলে অভিযোগ করেন চেয়ারম্যান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক ছগির আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ আগে অনিক পরিবহনের একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে ৯০ বোতল ফেনসিডিল পাওয়া যায়। আরও মাদক পাচার হচ্ছে খবর পেয়েই তারা সোনার বাংলা পরিবহনের বাসটিকে থামার সংকেত দিয়েছিলেন।
“দুর্ঘটনার পর জনগণ ক্ষেপে উঠলে আমরা চলে আসি। ওই বাসে আর তল্লাশি চালানো হয়নি।