এদের মধ্যে ১৯০ জনকে নিয়ে প্রথম ফ্লাইটটি ঢাকা পৌঁছায় ভোর সাড়ে ৪টায়। এর ১৫ মিনিটের ব্যবধানে বাকি ১৪৭ জনকে নিয়ে আসে পরের ফ্লাইট।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান।
তারা সবাই ‘সুস্থ’ আছেন বলে প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইয়েমেনে গত প্রায় ছয় মাস ধরে অস্থিরতা চলছে। শিয়া মতাবলম্বী হুতি বিদ্রোহীরা রাজধানী সানার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রেসিডেন্ট আবদ রাব্বু মানসুর হাদিকে উৎখাত করেছে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে চলছে তুমুল লড়াই। এরই মধ্যে হুতিদের দমনে সৌদি আরব বিমান হামলা চালানো শুরু করলে তা নতুন মাত্রা পায়।
গৃহযুদ্ধ ও বিমান হামলায় পর্যুদস্ত ইয়েমেন থেকে নাগরিকদের উদ্ধারে গত সপ্তাহ পর্যন্ত ব্যাপক তৎপরতা চালায় ভারত।
ইয়েমেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের পাশাপাশি প্রায় পাঁচশ বাংলাদেশি ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের উদ্ধার করে ভারতীয় নৌবাহিনী।
পরে ভারতের অন্য একটি যাত্রীবাহী জাহাজে করে শনিবার কেরালার কোচি বন্দরে পৌঁছান ৩৩৭ বাংলাদেশি।
সেখান থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ বিমানের দুটি বিশেষ ফ্লাইটে করে তাদের দেশে আনা হয়।
প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেন, ইয়েমেন থেকে অন্তত ৫০৮ জন বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে ভারত। তাদের মধ্যে কয়েকজন আগেই দেশে এসেছেন।
ভারতের অভিযানের শেষ দিকে উদ্ধার ১৩৬ জনকেও দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে। জিবুতি থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে ২০ এপ্রিল তাদের ঢাকা আনা হবে বলে আগেই জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ইয়েমেন ও জিবুতিতে কোনো মিশন নেই বাংলাদেশের। তবে ইয়েমেন থেকে উদ্ধার অভিযান সমন্বয়ের জন্য প্রতিবেশী আফ্রিকার ছোট দেশ জিবুতিতে একটি কন্ট্রোল সেল চালু করেছে ঢাকা।