শুক্রবার রাজধানীর জুরাইন এলাকায় গণসংযোগে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
গত কয়েক দিনের ধারাবাহিকতায় শুক্রবারও স্বামীর পক্ষে প্রচারে নেমে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে কর্মীদের ভয় দেখানোর পাশাপাশি তাদের ওপর হামলার অভিযোগ করেন আফরোজা আব্বাস।
আগের দিনও খোকনের বিরুদ্ধে দেওয়ালে পোস্টার সাটানোসহ নানাভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাঈদ খোকন সাংবাদিকদের বলেন, “আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা তাদের রাজনৈতিক বক্তব্য। তাদের কিছু একটা বলা প্রয়োজন, তাই বলেছেন।”
তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে যেতে ইতোমধ্যে পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার দুপুরে জুমআর নামাজের পর ইলিশ মাছ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামা সাঈদ খোকন জুরাইন এলাকায় গণসংযোগ করেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমার বাবা প্রথম ঢাকার নির্বাচিত মেয়র ছিলেন। আমিও বাবার মতো আপনাদের জন্য আমার জীবন উৎসর্গ করবো। আমি মেয়র হলে নগরের উন্নয়ন করবো।”
ঢাকা দক্ষিণের জনগণ তাকে একবার সুযোগ দিলে তাদের প্রত্যাশা পূরণ করবেন বলে অঙ্গীকার করেন খোকন।
প্রচারণাকালে ওই এলাকার মুদির দোকানি ইব্রাহীম মিয়া বলেন, “হানিফ ভাই মারা যাওয়ার পর মনটা অনেক খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আজ হানিফ ভাইয়ের ছেলে আমার কাছে ভোট চাইতে আসার সাথে সাথে খোকনের মুখে হানিফ ভাইয়ে চেহারা ফুটে উঠেছে।
“খোকনের মাঝে আমরা হানিফ ভাইয়ের ছায়া খুঁজে পেয়েছি।”
স্থানীয় এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে খোকন বলেন, “আমি সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করবো। আপনাদের সুখে-দুঃখে থাকব।
“আমি আপনাদের কথা উপলদ্ধি করি একজন মেয়র প্রার্থী হিসেবে নয়, একজন ভুক্তভোগী হিসেবে।”
এসময় সাঈদ খোকনের সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবীরসহ তার কর্মী-সমর্থকরা।