ধর্ষণের শিকার ওই নারী (২৪) বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলাটি দায়ের করেন।
তিনি শহরের কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা (পরিচয় গোপন করা হলো)।
ট্রাইবুনালের বিচারক মো. ইসমাইল হোসেন বিষয়টি তদন্ত করতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছেন।
আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা আদেশে বলা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত বছর রমজান মাসে ওই নারীর স্বামীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশ একটি মামলায় গ্রেপ্তার করে।
স্বামীকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় গেলে ওই নারীর সঙ্গে সদর থানার এএসআই মেহেদী হাসানের পরিচয় হয়। মেহেদী তাকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এরপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এএসআই মেহেদী তাকে কুপ্রস্তাব দেন। প্রথমে প্রস্তাবে রাজি না হলে তার স্বামীকে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি এএসআই মেহেদী ওই নারীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রস্তাবে রাজি করান।
অভিযোগে আরও বলা হয়, এরপর একাধিকবার তাকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন মেহেদী। কিন্তু এক পর্যায়ে আর শারীরিক সম্পর্ক করতে না চাইলে তাকে হেনস্থাও করেন তিনি।
ধর্ষণের শিকার ওই নারী বলেন, পুলিশের লোক হওয়ায় এএসআই মেহেদী তার স্বামীকে গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে আমার সাথে একাধিকবার এই অপকর্ম করেছে।
এখনও এএসআই মেহেদী তাকে বিভিন্নভাবে নাজেহাল করার হুমকি দিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে এএসআই মেহেদী হাসান বলেন, “আমি ওই মহিলাকে চিনি না। এবিষয়েও আমি কিছু জানি না। কেউ হয়ত ধান্দাবাজি করতে আমার বিরুদ্ধে ওই মহিলাকে দিয়ে মামলা করিয়েছে।”