সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে বুধবারের কার্যতালিকায় ১১ ও ১২ নম্বরে রয়েছে এ দুটি আপিল।
এ বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
দুই মামলাতেই প্রধান আইনজীবী হিসাবে রয়েছেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে রয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
খন্দকার মাহবুবের অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ছয় সপ্তাহ সময় চেয়ে একটি আবেদন আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দিয়েছেন মুজাহিদের আরেক আইনজীবী। সময় চাওয়ার বিষয়টি কার্যতালিকাতেও রয়েছে।
এর আগে জানুয়ারিতে মুজাহিদের আপিল শুনানির জন্য কার্যতালিকায় এলেও পরে তা পিছিয়ে যায়। অন্যদিকে সালাউদ্দিন কাদেরের আপিলটি এবারই প্রথম শুনানির জন্য কার্যতালিকায় এলো।
সালাউদ্দিন কাদেরের অপর আইনজীবী হুজ্জাতুল ইসলাম খান আলফেসানী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আপিল বিভাগে ক্রমানুসারে মামলার শুনানি হয়। আমাদের মামলার আগে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মামলা রয়েছে। সেটি শুনানি হলে আমাদেরটি হবে বলে মনে হচ্ছে।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, সময়ের কোনো আবেদন তারা দাখিল করেননি।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. ইকরামুল হক টুটুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মামলা দুটি শুনানির জন্য এসেছে। ক্রম অনুসারে শুনানি হওয়ার কথা।”
ওই রায়ের বিরুদ্ধে ১১ অগাস্ট আপিল করেন মুজাহিদ। রাষ্ট্রপক্ষ আপিল না করলেও শুনানিতে অংশ নিয়ে দণ্ড বহাল রাখতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবে বলে জানিয়েছে।
রাউজানে কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের মালিক নূতন চন্দ্র সিংহকে হত্যা, সুলতানপুর ও ঊনসত্তরপাড়ায় হিন্দু বসতিতে গণহত্যা এবং হাটহাজারীর এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তার ছেলেকে অপহরণ করে খুনের দায়ে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির রায় দেয়।
সব অভিযোগ থেকে খালাস চেয়ে ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২৯ অক্টোবর আপিল করেন সাকা চৌধুরী।