বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এ দুটি হামলার ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেন তারা।
আগামী রোববার (২৯ মার্চ) মধুখালী পৌরসভা নির্বাচনে সম্মিলিত নাগরিক ঐক্যজোট প্রার্থী বিএনপি নেতা শাহাবুদ্দিন আহমেদ সতেজ।
অপর হামলাটি হয় আওয়ামী লীগের সাবেক উপজেলা সভাপতি সৈয়দ কবিরুল আলম মাওয়ের বাড়িতে।
শুক্রবার দুপুরে ফরিদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে সাহাবুদ্দিন আহম্মেদ সতেজ অভিযোগ করেন, রাত দুইটার দিকে ৪০/৫০ জন দুর্বৃত্ত হামলা চালিয়ে তাকে এবং ওই বাড়িতে অবস্থানকারী বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য সাবেক সাংসদ শাহ মো. আবু জাফরকে খুঁজতে থাকে।
তাদের না পেয়ে দুর্বৃত্তরা ঘরের দরজা, দেয়াল ও টিন কুপিয়ে ভাংচুর করে চলে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে শাহ মো. আবু জাফর বলেন, সতেজের বাড়িতে সরকার দলীয় ক্যাডাররা হামলা করেছে। তারা বাড়ির দরজা ভাঙতে না পেরে তাদের দুজনকে হত্যার হুমকি দিয়ে গেছে।
“নির্বাচনের একদিন আগে আমি ও মেয়র প্রার্থী দুইজনেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি,” বলেন জাফর।
বক্তারা নির্বাচনে অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান।
এদিকে, কবিরুল আলম মাও বলেন, কেন কী কারণে তার বাড়িতে হামলা হয়েছে তা তিনি পারছেন না।
মধুখালী থানার ওসি মো. রুহুল আমীন আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে হামলার বিষয়টি স্বীকার করলেও মেয়র পদপ্রার্থীর বাড়িতে হামলার বিষয়টি জানেন না বলে জানান।
তবে, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।