তারা হলেন, বেসরকারি টেলিভিশন স্টেশন একাত্তরের স্টাফ রিপোর্টার আরেফিন শাকিল, অতীশ দ্বীপংকর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কুনতলা শিকদার, তার বোন রাবিনা করিম ও রিকশা চালক মো. নাজিম।
রাত ৯টার দিকে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের প্রায় দুই মাসের অবরোধ এবং এর পাশাপাশি হরতালে বিভিন্ন যাত্রীবাহী পরিবহনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৬০ জন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ১৩০ জনের বেশি, যাদের মধ্যে শনিবার পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিলেন ৪৯ জন।
রোববারের ঘটনায় এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫৩ জনে।
কুনতলা শিকদার হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, রোববার রাত সোয়া ৮টার দিকে আলিফ পরিবহনের একটি বাসে করে বনশ্রী থেকে তারা বাড্ডায় আসছিলেন। বনশ্রী ইয়ামিনী ফাস্টফুডের সামনে গাড়িতে দুর্বৃত্তরা পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করলে তারা দগ্ধ হন।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা ব্রজেন কুমার সরকার বলেন, আগুনের খবর পেয়ে দ্রুত দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
হাসপাতাল ফাঁড়ি পুলিশের পরিদর্শক মোজাম্মেল হক বলেন, শাকিলের বাম হাত, কুনতলা ও নাজিমের দুই হাত এবং রাবিনার শরীরের বিভিন্নস্থান পুড়ে গেছে।
এদিকে রাতে নিউ মার্কেট এক ও চার নম্বর গেইটে হাতবোমা বিস্ফোরণে পাঁচজন, বংশালে বোমায় একজন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হলের সামনে বোমায় একজন আহত হয়েছেন।
পুলিশ কর্মকর্তা মোজাম্মেল বলেন, বোমায় আহতরা হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।