পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান আবদুস সালামকে দেওয়া জামিন স্থগিতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আপিল বিভাগ।
Published : 26 Feb 2015, 01:54 PM
এর ফলে হাই কোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ বহাল থাকল বলে তার আইনজীবী জানিয়েছেন।
প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেয়।
আদালতে সালামের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
৬ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে একুশে টেলিভিশন কার্যালয়ের নিচ থেকে গ্রেপ্তার হন সালাম। এর চারদিন পর হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ তার জামিন মঞ্জুর করে।
সালামকে গ্রেপ্তারের পর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান জানান, একুশে টেলিভিশনের অপরাধ বিষয়ক অনুষ্ঠান ‘একুশের চোখ’ এর একটি পর্ব নিয়ে কানিজ ফাতেমা নামের এক নারীর করা মামলায় তারা এ ব্যবস্থা নিয়েছেন।
তবে ক্যান্টনমেন্ট থানার এ মামলার এজাহারে যে চারজনকে আসামি করা হয়েছে তাতে ইটিভি চেয়ারম্যানের নাম ছিল না।
এর মধ্যে শাহজালাল বাদীর সাবেক স্বামী; আর জহিরুল বাদীর সঙ্গে ‘ধর্মভাইয়ের’ সম্পর্ক পাতিয়েছিলেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ১৯৯৯ সালে বিয়ের পর থেকেই মাদকাসক্ত শাহজালাল বিভিন্ন সময়ে কানিজ ফাতেমার ওপর নির্যাতন চালাতেন। তার নামে একটি ফ্ল্যাট লিখে দেওয়ার পরও নির্যাতন থামেনি।
এ কারণে ফাতেমা পরে শাহজালালকে তালাক দেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাদী বলেছেন, জহিরুল ‘ধর্মবোন’ ডেকে তার কিছু ভিডিও ধারণ করেছিলেন। তালাকের পর শাহজালাল ও অন্য আসামিদের যোগসাজশে সেই ভিডিও থেকে মুখচ্ছবি নিয়ে অন্য এক নারীর অশ্লীল ভিডিওর ওপর বসিয়ে ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে দেয়। এলাকায় সেই ছবি দিয়ে পোস্টারও লাগানো হয়।
এছাড়া গত বছর ৬ নভেম্বর ‘একুশের চোখ’অনুষ্ঠানে বাদিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হয় বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা রয়েছে। এই মামলায় খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানও আসামি।
লন্ডনে বিএনপির এক অনুষ্ঠানে তারেকের দেওয়া বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচার নিয়ে গত ৮ জানুয়ারি তেজগাঁও থানার এসআই বোরহান উদ্দিন বাদী হয়ে এই মামলা করেন।