বিএনপির ডাকা অবরোধে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা চললেও বন্ধ রয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার।
Published : 22 Feb 2015, 08:59 PM
অবরোধকারীদের ‘হুমকিতে’ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার বন্ধ রাখা হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধান গ্রন্থাগারিক আব্দুল হাই ছমেনী।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, নিউজ এইজ ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাংবাদিকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণও করেন প্রধান গ্রন্থাগারিক আব্দুল হাই ছমেনী।
ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে প্রায় দুই মাস বন্ধ থাকার পর গত ১৮ জানুয়ারি খুলে দেওয়া হয় ক্যাম্পাস।
এর পর বিএনপি লাগাতার অবরোধে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি বিভাগের ক্লাস পরীক্ষা চলছে, খোলা রয়েছে প্রত্যেকটি বিভাগ ও বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তর। কিন্তু ১৮ জানুয়ারি থেকে আর চালু হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রায় এক মাস ধরে লাইব্রেরি থেকে কোনো বই বাসায় নিতে পারছেন না তারা। তাদের পড়ার জন্য লাইব্রেরিতেও প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। শুধু তাই নয় গ্রন্থাগার ভবনের তৃতীয় তলায় পত্রিকার কক্ষেও প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না তাদের।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোববার দুপুরে গ্রন্থাগার ভবনে গেলে দেখা যায়, ভবনের দ্বিতীয় ও চতুর্থ তলার প্রধান ফটকে তালা দেওয়া রয়েছে। তৃতীয় তলার প্রধান ফটক খোলা থাকলেও কোনো শিক্ষার্থীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
এই সময় আট দশ জন শিক্ষার্থীকে প্রবেশ করতে না পেরে ফেরত যেতে দেখা গেছে। এছাড়া ভবনের চতুর্থ তলায় অবস্থিত ‘মুক্তিযুদ্ধ কর্নার’টিও তালাবদ্ধ দেখা যায়।
পরে গ্রন্থাগার বন্ধ কেন জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গ্রন্থগারিক আব্দুল হাই ছমেনী সাংবাদিকদের বলেন, "যারা অবরোধ ডেকেছে তাদের হুমকি রয়েছে, তাই লাইব্রেরি বন্ধ। তাছাড়াও আমাদের সমস্যা রয়েছে তাই লাইব্রেরি খোলা রাখা যাবে না। "
এ সময় কী সমস্যা তা জানতে চাইলে সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং তাদের গালাগাল দিয়ে সেখান থেকে বের হয়ে যেতে বলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক আমিনুল হক ভূইয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিষয়টি অবগত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি প্রধান গ্রন্থাগারিককে টেলিফোনে নির্দেশ দিয়েছি, লাইব্রেরির প্রত্যেকটি বিভাগ যেন এখন থেকে খোলা থাকে। এখন থেকে শিক্ষার্থীদের প্রবেশ ও পড়তে আর বাধা থাকবে না।”