আবদুস সুবহানের ফাঁসির রায়ে সন্তুষ্ট হলেও মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের রায় কার্যকরে বিলম্বে অসন্তোষ জানিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ।
Published : 18 Feb 2015, 02:20 PM
এ থেকে যুদ্ধাপরাধের বিচার সম্পন্ন করার বিষয়ে সরকারের আন্তরিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
বুধবার সুবহানের রায় ঘোষণার পর জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, “রায় কার্যকরের চিত্রেই বোঝা যাচ্ছে, রায় হওয়া মানে বিচার নয়, রায় কার্যকর হলেই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।”
তিনি বলেন, “মানবতাবিরোধী অপরাধে আবদুস সুবহানের ফাঁসির রায়ে খুশি হয়েছি, এটা গণমানুষের প্রত্যাশিত ছিল। এই রায় জনমানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করেছে।
“কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে যুদ্ধাপরাধীদের ১৬টি রায় হলেও শুধু কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এই রায়গুলো কার্যকর করা নিয়ে ‘প্রশ্ন’ আছে সরকারের কাছে।”
রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানিয়ে ইমরান এইচ সরকার বলেন, “অবিলম্বে কামারুজ্জামানের রায় কার্যকর হবে। আর এর মধ্যে যুদ্ধাপরাধীদের রায় কার্যকরে যে খরা তৈরি হয়েছে সেটি কাটিয়ে ওঠা যাবে।”
সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখা এই রায় প্রকাশ করলেই তার সাজা কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে সরকার।
বরাবরের মতো এদিনও সুবহানের যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় ঘোষণা উপলক্ষে শাহবাগে অবস্থান নেন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা।
বেলা সোয়া ১১টার দিকে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিয়ে সুবহানের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে স্লোগান দেন তারা।
মুক্তিযুদ্ধকালে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, লুটপাটের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতের নায়েবে আমির সুবহানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
রায়ের পর জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের করে গণজাগরণ মঞ্চ। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি হয়ে আবার শাহবাগে এসে শেষ হয়।