একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ মামলার রায়ের জন্য জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আব্দুস সুবহানকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয়েছে।
Published : 18 Feb 2015, 08:02 AM
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও লুটপাটের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের নয়টি অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এমন এক দিনে এই রায় হচ্ছে যখন আগাম নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি-জামায়াত জোটের লাগাতার অবরোধের মধ্যে হরতালও চলছে।
চকবাজার থানার ওসি আজিজুল হক জানান, বুধবার সকাল ৮টা ৫০ এ সুবহানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি মাইক্রোবাসে করে পুরাতন হাই কোর্ট এলাকায় ট্রাইব্যুনালে নিয়ে যাওয়া হয়।
৮টা ৫৬মিনিটে ট্রাইব্যুনালে পৌঁছানোর পর তাকে হাজতখানায় রাখা হয় বলে শাহবাগ পুলিশের পরিদর্শক (পেট্রোল) শহীদুল ইসলাম জানান।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ সকাল ১০টার পর এ মামলার রায় ঘোষণা করবে।
পাকিস্তান আমলে সুবহান ছিলেন পাবনা জেলা জামায়াতের আমির ও কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর তিনি পাবনা জেলা শান্তি কমিটির সেক্রেটারি এবং পরে ভাইস-প্রেসিডেন্ট হন।
তার নেতৃত্বে পাবনা জেলার বিভিন্ন থানায় শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও মুজাহিদ বাহিনী গঠিত হয় বলে প্রসিকিউশনের অভিযোগ।
অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সুবহানের বিচার শুরু করে ট্রাইব্যুনাল। যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে গতবছর ৪ ডিসেম্বর মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা হয়।
রায়কে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে আদালত এলাকায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
সকালে হাই কোর্টসংলগ্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় ট্রাইব্যুনালের বিভিন্ন প্রবেশপথে রয়েছে পুলিশ ও র্যাবের অবস্থান। সবার পরিচয়পত্র পরীক্ষা করে হাই কোর্ট প্রাঙ্গণে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।