সহিংসতা থেকে মুক্তিতে দরকার খালেদার সুমতি: মুহিত

জিডিপি প্রবৃদ্ধি সাত শতাংশে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সাম্প্রতিক সহিংসতাকে বাধা হিসেবে দেখছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।  

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Jan 2015, 03:53 PM
Updated : 27 Jan 2015, 03:53 PM

এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ‘সুমতি’ আশা করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে মুহিত বলেন, “গত কয়েক বছরে আমাদের প্রবৃদ্ধি ছয়ের ঘরে ঘুরপাক খাচ্ছিলো। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এটা সাতে পৌঁছাবে বলে আশা করেছিলাম। তবে গত কয়েকদনে যে অনাচার হচ্ছে তাতে এই স্বপ্ন আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে। তবে আমি ছড়িনি।”

তিনি বলেন, “দেশের উন্নয়নে যখন সবাই কাজ করছে তখন অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে, এক মহিলা খালেদা জিয়া এবং কিছু সন্ত্রাসী তাতে বাধা দিচ্ছে। কয়দিনে যা করেছে তা অচিন্তনীয়।”

এ সময় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সাত শতাংশে নিয়ে যেতে দুটি উপায়ের কথা উল্লেখ করেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, “দুটি উপায় আছে। এক খালেদা জিয়ার সুমতি। জানি না সেটা হবে কিনা। আমরা এই সংসদে যারা আছি তারা বলতে পারবো না। এমনকি তাকে যারা অনুসরণ করে তারাও বলতে পারবে না।

“আরেকটি প্রধানমন্ত্রীকে বলবো, যে সন্ত্রাস হচ্ছে তা শক্ত হাতে দমন করুন।”

খালেদা জিয়ার উদ্দেশে অর্থমন্ত্রী বলেন, “অন্য কোথাও আনুগত্য না থাকলে উন্নয়ন সহ্য করুন।দেশের উন্নয়নে বাধ সাধবেন না।”

২০১৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশ দারিদ্র্যমুক্ত হবে- এমন আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী অনেকদিন ধরেই বলছেন ২০২১ সালে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। আমি বলবো আরও আগে ২০১৮ সালে বাংলাদেশে দারিদ্র্য থাকবে না।”

“বিশ্বের সব দেশেই ১০ থেকে ১৪ শতাংশ দারিদ্র্য রয়েছে। সবচেয়ে কম মালয়েশিয়ায় সাত শতাংশ। এটা স্বাভাবিক। সমাজে বৃদ্ধ, বিধবা, প্রতিবন্ধী থাকে। এদেরকে সমাজ প্রতিপালন করে। সে হিসেবে ২০১৮-এ আমাদের দারিদ্র্য ১২ শতাংশে নেমে আসবে।”

মুহিত বলেন, “আমাদের আশাবাদী ভবিষ্যত নিয়ে কারও কোন সন্দেহ নেই। আমাদের অলস শ্রমশক্তি নেই। সবাই কিছু না কিছু কাজ করছে। অলস শ্রমকি খুঁজে পাওয়া যাবে না। মানুষ কাজ করছে। ২০১০ সালে দারিদ্র্যসীমার নিচে ছিল সাড়ে ত্রিশ শতাংশ। আর অত্যন্ত দরিদ্র ছিল সাড়ে ২১ শতাংশ। ২০১৩ সালে সেটা হয়েছে সাড়ে ২২ এবং ৯ শতাংশ।”

মুহিত বলেন, “এর কারণ আমরা দারিদ্র্য দূর করার পাশাপাশি বৈষম্যও কমাচ্ছি। কারণ আমাদের সরকার, শেখ হাসিনার সরকার জনকল্যাণকর সরকার।”

বক্তব্যের শুরুতে তিনি বলেন, “দুইদিন আগে ৮১ পূরণ করে ৮২তে পা দিয়েছি। এজন্যই আমি কিছু বলবো।”

এসময় তার পাশে থাকা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন উঠেন, ‘লং লিভ’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এসময় সংসদ কক্ষে উপস্থিত ছিলেন।

পরে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবে আলোচনা করেন আওয়ামী লীগের এনামুল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন।