বিকালে প্রথমে যুক্তরাজ্যের হাই কমিশনার রবার্ট গিবসন কার্যালয়ে আসেন। নিচ তলায় কালো কাপড় দিয়ে আচ্ছাদিত একটি টেবিলে কোকোর ছবি সম্বলিত আলোকচিত্র রাখা ছিলো। সেখানে রাখা শোক বইতে স্বাক্ষর করেন তিনি।
পরে কূটনীতিক কোরের ডীন ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত শাহের মোহাম্মদ ও যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ডেপুটি চীফ অব মিশন ডেবিড মিলসও গুলশানের কার্যালয়ে এসে শোকবইতে সই করেন।
এছাড়া ভারত, সুইডেন, ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশের পক্ষ থেকে বিএনপি কার্যালয়ে শোকবার্তা প্রেরণ করা হয়।
কূটনীতিকদের অভ্যর্থনা জানান দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। তার সঙ্গে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, মাহবুবুর রহমান, জমির উদ্দিন সরকার, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মীর মোহাম্মদ নাসির, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য শ্যামা ওবায়েদ ও জেবা রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দুপুরে সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, নাগরিক ঐকের সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান মান্না, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমী, সাবেক সাংসদ ফজলুল আজিম ও উন্নয়নকর্মী ফরহাদ মজহার গুলশানের কার্যালয়ে এসে শোকগ্রস্থ খালেদা জিয়ার খোঁজ-খবর নেন। কার্যালয় ভেতরে গেলে তাদের বিএনপি চেয়ারপারসনের অবস্থা জানানো হয়।
অধ্যাপক বি চৌধুরী পরে সাংবাদিকদের কাছে বলেন, “বেগম জিয়া শোকগ্রস্ত বলে তিনি ঘুমিয়ে আছেন। সেজন্য তার সঙ্গে দেখা করা যায়নি। তবে আমি চিকিৎসক হিসেবে মনে করি, এই শোকের সময়ে বেগম খালেদা জিয়ার এখন পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। তাহলে তিনি শোক কাটিয়ে উঠতে পারবেন।”
এদিকে সর্বসাধারণের জন্য কার্যালয়ের বাইরে একটি শোকবই খোলা হয়েছে। দলীয় নেতাকর্মীরা দুপুর থেকে লাইন ধরে এই শোকবইতে তাদের অনুভূতির কথা প্রকাশ করে।
কার্যালয়ের নিচতলায় আরেকটি কক্ষে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা দিনভর কোরআন তেলোয়াত করে। সন্ধ্যায় গুলশান কার্যালয়ে উলামা দলের উদ্যোগে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার দুপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর।