নাশকতাকারীদের তথ্যের জন্য ১০ হাজার টাকা থেকে ধরিয়ে দিলে এক লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে র্যাব।
Published : 24 Jan 2015, 01:24 PM
নাশকতাকারীদের ধরিয়ে দিলে সরকারের এক লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা পর র্যাবের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দিয়ে বাহিনীর মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেছেন, তথ্য দাতাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
শনিবার র্যাব সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে মোট আটটি ভাগে পুরস্কার দেওয়ার কথা জানান তিনি।
পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের পরিকল্পনাকারী বা সংগঠকদের সম্পর্কে ‘সঠিক’ তথ্য দিলে এবং পেট্রোল বোমা নিক্ষেপকারীদের হাতেনাতে ধরিয়ে দিলে এক লাখ টাকা পুরস্কার দেবে র্যাব।
ককটেল নিক্ষেপের পরিকল্পনাকারী বা সংগঠকদের সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিলে ৫০ হাজার টাকা, টিভি চ্যানেলে দেখানো বোমা, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ ও যানবাহন ভাংচুরকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে সাহায্য করলে ২৫ হাজার টাকা, ককটেল নিক্ষেপকারীদের হাতেনাতে গ্রেপ্তারে সাহায্য করলে ২৫ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
পেট্রোলবোমা নিক্ষেপকারীদের সম্পর্কে ‘সঠিক’ তথ্য দিলে ২০ হাজার টাকা; মোবাইল কিংবা ক্যামেরায় ধারণ করা গাড়িতে বোমা, অগ্নিসংযোগ এবং ভাংচুরের ছবি বা ভিডিও দিলে ১০ হাজার টাকা এবং ককটেল নিক্ষেপকারীদের সম্পর্কে ‘সঠিক’ তথ্য দিলে ১০ হাজার টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়।
বেনজীর বলেন, “দেশের একটি গোষ্ঠীর প্ররোচনায় শান্তিপ্রিয় মানুষকে পেট্রোলবোমা মেরে হত্যা করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা রোধে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
পুরস্কার ঘোষণার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে এসব কর্মকাণ্ড যারা করছেন তাদের বিরুদ্ধে বৃহৎ ঐক্যের প্রয়োজন রয়েছে। একই সঙ্গে সামাজিক অংশগ্রহণও জরুরি।
“যারা র্যাবকে সহায়তা করবে, তাদের পরিচয় গোপন রাখা হবে,” বলেন র্যাব মহাপরিচালক।
বিরোধী জোটের অবরোধের মধ্যে চলমান নাশকতার বিষয়ে তিনি বলেন, “যারা এসব করছে, তাদের সঙ্গে রাজনীতির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
“পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যা করলে সেটা কি রাজনীতি হবে? যারা এসব করছে, তারা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ফৌজদারি অপরাধে অপরাধী। যারা এই কাজটি করে তারা খুনি, হত্যাকারী এবং সন্ত্রাসী।”
তবে র্যাব মহাপরিচালক আশা করছেন, শিগগিরই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
সংবাদ সম্মেলনে পুরস্কারের প্রচারপত্রসহ পোস্টার ও প্রচারপত্র দেখিয়ে বলা হয়, সারাদেশে এসব ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান, মিডিয়া উইং’এর পরিচালক মুফতি মাহমুদ হাসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।