যুক্তরাষ্ট্রের ছয় কংগ্রেসম্যানের নামে গণমাধ্যমে ভুয়া বিবৃতি পাঠানো দুই নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিএনপি।
Published : 14 Jan 2015, 11:44 AM
এরা হলেন-বিএনপির বৈদেশিক দূত ও বিশেষ উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত জাহিদ এফ সর্দার সাদী ও ডা. মজিবর রহমান মজুমদার।
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা মঙ্গলবার রাতে নিউ ইয়র্কে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত একটি চিঠির অনুলিপি এ সময় সাংবাদিকদের বিতরণ করা হয়।
চিকিৎসার জন্য নিউ ইয়র্কে অবস্থানরত খোকা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং চেয়ারপারসনের কার্যালয় অবরুদ্ধ থাকায় এ বিষয়ে ঢাকায় প্রেস কনফারেন্স করা সম্ভব হয়নি বলে আমি কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছি।”
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ সম্রাট, সাবেক সহসভাপতি গিয়াস আহমেদ, সাবেক সেক্রেটারি জিল্লুর রহমানসহ কয়েকজন এ সময় খোকার পাশে ছিলেন।
খোকা বলেন, “আপনাদের মত আমরাও গণমাধ্যমের সূত্রে বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতির বিষয়ে মার্কিন কংগ্রেসের কতিপয় সদস্যের একটি তথাকথিত বিবৃতির খবর জানতে পারি। পরক্ষণে আবার সংবাদ মাধ্যমের খবরেই জানা যায় যে, বিবৃতিটি সঠিক নয়।
“এটি ছিল ব্যক্তি বিশেষের রহস্যময় তৎপরতার ফসল। নিন্দনীয় এই ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) দুই জন প্রবাসী প্রতিনিধির সম্পৃক্ততার তথ্য জানাজানি হওয়ার প্রেক্ষিতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দেন।”
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত জাহিদ ও মজিবরকে ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর বিএনপির বৈদেশিক দূত ও বিশেষ উপদেষ্টা করা হয়েছিল।
কংগ্রেস সদস্যদের ভুয়া বিবৃতি প্রচারের পিছনে ‘বাংলাদেশ সরকারের প্ররোচনা’ থাকতে পারে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি নেতা খোকা।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করা এবং তার ছেলে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা আরোপের নিন্দা জানিয়েছেন বলে গত ৮ জানুয়ারি কয়েকটি গণমাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ছয় কংগ্রেসম্যানের নামে একটি ‘মিথ্যা বিবৃতি’ পাঠানো হয়।
বাংলাদেশের কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম এবং যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যভিত্তিক দুটি অনলাইন সংবাদ পোর্টালে মার্কিন কংগ্রেস সদস্যদের নামে ওই বিবৃতির খবর প্রকাশ করে।
এর প্রতিক্রিয়ায় বিবৃতি পাঠিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই কংগ্রেস সদস্য।