পরিত্যক্ত যে পাইপে জিহাদের থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি দাবি করে উদ্ধার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিল ফায়ার সার্ভিস, তার ভেতর থেকেই কয়েকজন উদ্যমী তরুণের তৎপরতায় বের করে আনা হল চার বছরের শিশুটিকে।
Published : 27 Dec 2014, 10:59 AM
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর মন্তব্য দায়িত্বহীন: ফখরুল
উদ্ধারকর্মীদের হার, স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় উদ্ধার
শনিবার বেলা আড়াইটায় ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার কার্যক্রম স্থগিত করার কয়েক মিনিটের মধ্যে তরুণদের ঘোষণা সচকিত করে তোলে সবাইকে।
রাজধানীর শাহজাহানপুর রেল কলোনির পরিত্যক্ত ওই গভীর নলকূপের পাইপের মুখ দিয়ে ৩টার সময় জিহাদকে বের করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা বলেন, শিশুটি বেঁচে নেই।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টায় শিশুটির পড়ে যাওয়ার খবর শুনে উদ্ধার কাজে গেলেও কয়েকশ ফুট গভীর ওই পাইপের বহুদূর পর্যন্ত ভেতরে ক্যামেরা নামিয়েও কোনো মানবদেহের অস্তিত্ব ধরা না পড়ার কথা জানায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
এরপর ভোররাতে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল শিশুটির ওই পাইপে অবস্থান নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করার পর পুলিশ আটক করে শিশুটির বাবা নাসির ফকিরকে।
রাতভর রুদ্ধশ্বাস অভিযানের পর সকাল থেকে ১৪ ইঞ্চি ব্যাসের ওই পাইপের ভেতরে জিহাদের থাকা নিয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তাদের সংশয়ের মধ্যেই চলছিল উদ্ধার কাজ।
দুপুর আড়াইটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক আলী আহমেদ খান পাইপের ওই মুখের ১০-১২ গজ দূরে সংবাদ সম্মেলন করে উদ্ধার অভিযান স্থগিতের ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, পাইপের ভেতরে ক্যামেরা ঢুকিয়ে যে ছবি তোলা হয়েছে, তাতে কোনো মানবদেহের অস্তিত্ব থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ফলে তারা আর কাজ করবেন না, রেল বিভাগের কাছে পাম্পটির দায়িত্ব তুলে দিচ্ছেন তারা।
তার এই সংবাদ সম্মেলনের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা যখন কাজ গুটিয়ে নেওয়ার তোড়জোড় করছিল, তখন নিজেদের উদ্ভাবিত ‘ক্যাচার’ নিয়ে কাজে নেমে পড়া কয়েক তরুণ বলেন, তারা কিছু একটা পেয়েছেন।
আলী আহমেদের সংবাদ সম্মেলনের ভিড় তখন চলে যায় কাছের ওই নলকূপের কাছে, যে মৃত্যুকূপটি জিহাদকে তুলে আনার কিছু সময়ের মধ্যে ঝালাই করে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলন শেষ করে আলী আহমেদের চলে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে ৩টার দিকে ওই তরুণদের ‘ক্যাচারে’ উঠে আসে অচেতন জিহাদ, গত ২৩ ঘণ্টায় যার নাম জানা হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশে সব এলাকার মানুষের।
উদ্ধারকারী তরুণদের অন্যতম শাহ মোহাম্মদ আব্দুল মুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা লোহার তার দিয়ে তৈরি একটি জালের সঙ্গে কেবল টিভির ম্যানুয়েল ক্যামেরা বেঁধে পাইপের ভেতরে পাঠিয়ে শিশু জিহাদকে উদ্ধার করেন।
কয়েকটি লোহার রডকে চক্রাকারে বেঁধে তার নিচের অংশ ফাঁকা রেখে সেখানে কয়েকটি রিভার্স ক্লিপ বসিয়ে নিচে নামিয়েছিলেন এই তরুণরা, সঙ্গে ছিল একটি ক্যামেরা। তাতেই বেঁধে উঠে আসে জিহাদের দেহ।
নানা পেশায় যুক্ত উদ্ধারকারী এই দলের সদস্য স্থানীয় ইলেক্ট্রিশিয়ান আব্দুল মজিদ বলেন, “চার/পাঁচজনের একটি দল কাজটা করেছে। গত রাতেও আমরা চেষ্টা করে সফল হইনি, কিন্তু আজ এক ঘণ্টার চেষ্টায় সফল হয়েছি।”
জিহাদকে উদ্ধারের পর স্থানীয়রা বিক্ষুব্ধ হয়ে রেলের কিছু স্থাপনা ভাংচুর করেন, ভাংচুর হয় ওয়াসার নির্মাণাধীন স্থাপনাও।
এরপর রেল বিভাগ পরিত্যক্ত ওই নলকূপের পাইপের মুখটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়। এই নলকূপটি বসালেও কাজ হচ্ছিল না বলে পাশেই আরেকটি বসানোর কাজ চলছিল।
সেক্ষেত্রে পরিত্যক্তটির মুখ বন্ধ করার নিয়ম থাকলেও তা হয়নি, যা নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছিলেন জিহাদের বাবা মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নৈশ প্রহরী নাসির ফকির।
জিহাদকে উদ্ধারের পর পুলিশি হেফাজত থেকে বেরিয়ে এসে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আটকে রেখে তার কাছে বারবার জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি নিজের শিশুকে লুকিয়ে রেখেছেন কি না?
পাইপের ভেতরে জিহাদের থাকা নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টির পর যে দুজন স্থানীয় গৃহবধূ রাহেলা ও কিশোর আরিফ ওই শিশুটিকে পাইপের ভেতরে পড়ে যাওয়ার খবর দিয়েছিলেন, নাসিরের মতো তাদেরও আটক করেছিল পুলিশ।
কিন্তু শেষে শিশুটিকে পাওয়া গেল পাইপের ভেতরেই; আর তখন শাহজাহানপুর রেল কলোনির ৪১ নম্বর বিল্ডিংয়ে কান্নার রোল, যেখানে স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে নাসিরের বাস।
জিহাদকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ব্যর্থতার বিপরীতে কয়েকজন উদে্যোগী তরুণের সাফল্যের বিষয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রশ্নের উত্তরে আলী আহমেদ বলেন, “আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযান স্থগিত করলেও আমাদের কর্মীরা সেখানে ছিল। এলাকাবাসী আমাদের সহযোগিতা করেছে। সবার সহযোগিতায় শিশুটি উদ্ধার হয়েছে।”
তবে বিষয়টি নিয়ে ফায়ার সার্ভিসেরই উপসহকারী পরিচালক পর্যাদার এক কর্মকর্তার প্রতিক্রিয়ায় ছিল উল্টো সুর।
“আমরা চরম বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছি,” বলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা।
কাজ গুটানোর মধ্যেই উদ্ধার
বেলা আড়াইটায় ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালকের ঘোষণার আগেই এই বাহিনীর কর্মীরা জানতে পারে যে উদ্ধার অভিযানে ইতি টানা হচ্ছে, আর সেজন্য কাজ গুটিয়ে নিচ্ছিলেন তারা।
সকাল ১০টায় ডিএডি মো. হালিম সাংবাদিকদের বলেন, “ভেতরে কোনো ভিকটিম নেই। এখন আমাদের আর কোনো কাজ নেই। দেশীয় পদ্ধতিতে স্থানীয় মানুষ যে চেষ্টা করছে, আমরা তাতে সহায়তা করছি।”
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেখানে উপস্থিত ফায়ার ব্রিগেডের এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা সকালেই অভিযান স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেন। জিনিসপত্র গুটিয়ে নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তারা। অপেক্ষা করছিলেন মহাপরিচালকের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার।
সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগ মুহূর্তে দুপুরে কয়েকজন রড দিয়ে তৈরি একটি লোহার খাঁচা নিয়ে আসেন। এসময় তাদের সঙ্গে কোনো রশি ছিল না। গত শুক্রবার থেকে যে রশি ফেলে কাজ করা হচ্ছিল, সেই রশির মধ্যেই খাঁচাটি বেঁধে নলকূপে ফেলা হয়।
যেহেতু রশিটি ফায়ার সার্ভিসের, সে কারণে বাহিনীর দুই সদস্য সেখানে ছিল। বাকিরা চলে যান মহাপরিচালকের সম্মেলনে। ওই সম্মেলন শেষ হওয়ার সময় জিহাদকে পাওয়ার খবর জানা যায়।
ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজে থাকা স্থানীয় যুবক মুরাদ জানান, লোহার তৈরি খাঁচাটি নামানোর জন্য ফায়ার ব্রিগেডের শক্ত রশিটি ব্যবহার করা হয়েছে মাত্র। তাদের পাশে থাকা দুজন ফায়ারম্যানের একজন ওই রশিটি তুলতে সাহায্য করেন।
“জালটি ফেলার কিছুক্ষণ পর টান দিয়ে একটি ভারী বস্তুর অস্তিত্ব থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। আমরা বুঝতে পারি, এই খাঁচায় কিছু একটা আটকেছে।”
নিচে নামিয়ে দেওয়া ক্যামেরার একটি টিভি মনিটরের সংযোগ ছিল। নলকূপের পাশে রাখা ওই মনিটরেই সব দেখা যাচ্ছিল।
সার্বক্ষণিক মনিটরে চোখ রাখা হচ্ছিল জানিয়ে মুরাদ বলেন, “কাছাকাছি আসার পর প্রথমে শিশুর হাত দেখতে পাই। এরপরেই খুব সর্তকভাবে এবং ধীরে ধীরে রশিটি টেনে তোলা হচ্ছিল যেন কোনোভাবেই ফসকে পড়ে না যায়।”
‘মৃত অবস্থায় পেয়েছি শিশুটিকে’
উদ্ধারের পর প্রথম ভিড় ঠেলে রেল কলোনির মাঠে ওয়াজ মাহফিলে জন্য রাখা মঞ্চে নেওয়া হয় জিহাদকে। তখন অচেতন দেখালেও জিহাদ মৃত, না জীবিত বোঝা যাচ্ছিল না।
এসময় জিহাদের দেহ একজন ফায়ারম্যান ধরে রাখলেও ভিড়ের কারণে কারও নিয়ন্ত্রণ ছিল না। ফলে উদ্ধারের পরও তাকে নিয়ে প্রায় ১৫/২০ মিনিট ঘোরাঘুরি করে ফায়ারম্যান ও উদ্ধারকারী সদস্যরা।
এরপর র্যাবের একটি গাড়িতে করে জিহাদকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, সেখানে পৌঁছতে লেগে যায় বিকাল সাড়ে ৩টা।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা সঙ্গে সঙ্গে জিহাদকে নিয়ে পরীক্ষা শুরু করেন। প্রায় আধা ঘণ্টা পরীক্ষার পর জিহাদের মৃত্যুর ঘোষণা নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে আসেন ডা. রিয়াজ মোর্শেদ।
“হাসপাতালের পরিচালক মহোদয়ের নেতৃত্বে চিকিৎসকরা তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্তে এসেছেন যে, বেশ কয়েক ঘণ্টা আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। মৃত অবস্থাতেই তাকে আমাদের কাছে আনা হয়েছে।”
জিহাদের শরীরের কয়েকটি স্থানে ছিলে যাওয়ার চিহ্ন রয়েছে বলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান ডা. মোর্শেদ। তিনি আরও বলেন, পানিতে পড়ে যাওয়ার লক্ষণও তারা পেয়েছেন।
‘ভিকটিম ভেতরে নেই’
ফায়ার সার্ভিস শুক্রবার ভোররাতেই বলেছিল, পাইপের ভেতরে রশিতে বেঁধে অনেকদূর পর্যন্ত ক্যামেরা নিয়ে নিচের যে ছবি তোলা হয়েছে, তাতে কোনো মানবদেহের অস্তিত্ব ধরা পড়েনি; তবে ছবি এসেছে কাপড়, স্যান্ডেলের মতো আবর্জনার।
এরপর স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের বলেন, উদ্ধারকর্মী দলের সঙ্গে কথা বলে তার ধারণা হয়েছে যে পাইপের ভেতরে শিশুটি নেই। তারপরও বিষয়টি নিশ্চিত হতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা।
শনিবার ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালকের সংবাদ সম্মেলনের আগে সকাল ১০টায় ডিএডি মো. হালিম সাংবাদিকদের বলেন, “ভেতরে কোনো ভিকটিম নেই।”
এরপর মহাপরিচালক আলী আহমেদ এসেও একই কথা জানিয়ে উদ্ধার অভিযান স্থগিতের ঘোষণা দেন।
জিহাদ ভেতরে নেই বলে শনিবার দাবি করলেও শুক্রবার বিকালে ও সন্ধ্যায় তার কণ্ঠ শুনতে পাওয়ার কথা উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছিলেন। তাকে অক্সিজেন ও খাবার দেওয়ার কথাও বলেছিলেন তারা।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আলী আহমেদ বলেন, “যারা বলেছেন, তাদের কারোরই খারাপ কোনো ইনটেনশন ছিল না।
“যারা বলেছিলেন, তারা খাবার-অক্সিজেন সরবরাহ করার কথা বলেছিলেন। আর বাইরে থেকে কথা ছোড়া হচ্ছিল, যা পাইপের ভেতরের বিভিন্ন ইকো হয়ে ফিরে আসতে পারে।
“তবে এ ধরনের কথা কেউ বলে থাকলে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি,” বলেন মহাপরিচালক। তবে পরে তার দাবি মিথ্যা প্রমাণিত করে পাইপের ভেতর থেকেই উদ্ধার হয় জিহাদ।
ভয় দেখানো হয়েছিল জিহাদের বাবাকে
পাইপের ভেতরে জিহাদের থাকা নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হওয়ার পর ভোররাতে জিহাদের বাবা নাসির ফকিরকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়।
এই বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার আনোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নিরাপত্তার স্বার্থেই তাকে আমাদের হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত তিনি আমাদের কাছে থাকবেন।”
শিশুটির মামা মনির শনিবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারাই জিহাদের বাবাকে নিরাপদে রাখতে পুলিশকে বলেছিলেন।
বিকালে পুলিশের হেফাজত থেকে মুক্ত নাসির তার কলোনির বাসায় সাংবাদিকদের বলেন, “পুলিশ আমাকে বলেছে-তুমি বাইরে থাকলে সাংবাদিকরা বিরক্ত করবে, চল থানায় যাই। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ আমাকে জানায়-পাইপে পাঠানো ক্যামেরায় কারো অবস্থান পাওয়া যায়নি।”
জিহাদকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে বলে সন্দেহ করে পুলিশ তাকে ভয় দেখিয়েছিল বলে অভিযোগ করেন নাসির।
“তোমার সঙ্গে কারও ঝামেলা রয়েছে কি না আমাদের বল। ছেলেকে কি কোথাও লুকিয়ে রেখেছ কি না, স্বীকার কর? কোনো ঝামেলা থাকলে আমাদেরকে জানাও। আমাদেরকে না বললে পরে র্যাব এসে আবার অন্য রকমভাবে জিজ্ঞাস করবে। তখন তাদেরকে আসল কথা বলতে হবে।”
এসময় জিহাদের পাইপে পড়ে যাওয়ার ঘটনাটি খুলে বলার চেষ্টা করেন নাসির।
তিনি বলেন, জিহাদ যে পাইপে পড়ে গেছে তা দুই শিশু প্রথমে দেখেছে। কয়েকজন নারী ও শিশু এসে পাইপের মুখে কান পেতে আওয়াজও শুনেছে।
“ও খেলছিল। এসময় পাইপের মধ্যে পড়ে যায়। আশপাশের লোকজন এসে তা জানায়। ‘মা আমাকে বাঁচাও’ বলেও চিৎকার করেছে বলে কয়েকজন শিশু জানিয়েছে।”
স্থানীয় গৃহবধূ রাহেলা ও আরিফ নামের এক কিশোর জাহিদের পড়ে যাওয়া খবর সাংবাদিকদের দিয়েছিলেন। তাদের দুজনকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শনিবার সকালে হেফাজতে নেয় পুলিশ।