ধানমন্ডিতে দুই জেএমবি জঙ্গি গ্রেপ্তার

রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে নিষিদ্ধ সংগঠন জামায়তুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) দুই সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর গোয়েন্দা পুলিশ বলেছে, তারা আন্তঃদেশীয় জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িত। 

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Dec 2014, 12:42 PM
Updated : 24 Dec 2014, 12:42 PM

এরা হলেন- জেএমবির গায়েরে এহসার সদস্য মো. সাইদুর রহমান (৪৮) এবং বর্ধমান বিস্ফোরণের ঘটনায় ‘জড়িত’ পলাতক জঙ্গি তরিকুল ইসলাম সুমনের ছোট ভাই মো. আবুল সালেক (২৫)।

ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার রাতে সাত মসজিদ রোড থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছে বোমা তৈরির কয়েকটি নির্দেশিকাও উদ্ধার করা হয়েছে।

মাসুদুর রহমান বলেন, “ভারতের বর্ধমানে বিস্ফোরণের ঘটনার পর আন্তঃদেশীয় জঙ্গি কার্যক্রম নিয়ে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে তথ্য বিনিময়ের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাইদুর পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি ২০০১ সাল থেকে জেএমবির কর্মকাণ্ডে জড়িত।

বর্ধমানের ঘটনায় জড়িতদের ভারতে যেতে সহায়তাসহ বিভিন্ন সময় দুই দেশের জঙ্গি কর্মকাণ্ডের সমন্বয়ের দায়িত্ব তিনি পালন করতেন বলে উপ কমিশনার জানান।

আর সালেক জেএমবির পলাতক সদস্যদের স্ত্রী-সন্তানদের ভারতে পারাপারে সহায়তা করতেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। 

মাসুদুর রহমান জানান, এই দুইজনের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।

দুই মাস আগে পশ্চিমবঙ্গের ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় বাংলাদেশের জঙ্গিদের সম্পৃক্ততার তথ্য উঠে এলে তথ্য বিনিময়সহ সন্ত্রাস দমনে একযোগে কাজ করতে একমত হয় প্রতিবেশী দুই দেশ।

এরপর ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা- এনআইএর একটি প্রতিনিধি দল ১৭ নভেম্বর ঢাকায় এসে বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেন। সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে জঙ্গিদের নামের তালিকা বিনিময় হয়।

পরে বাংলাদেশের সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ২৭ থেকে ২৯ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গ সফর করে।

বর্ধমানের ঘটনার মূল সন্দেহভাজন জেএমবি নেতা শেখ রহতুল্লাহ সাজিদ যে বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের মাসুম- সে বিষয়ে ভারতীয় গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্যেই নিশ্চিত হয় র‌্যাব।

সাজিদ পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়ার পর নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তার ভাই মোনায়েম হোসেন মনাকে। এরপর ২২ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাজিদের স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে (২৫) ।