৬৩ বছরে জাফর ইকবাল

৬৩ বছরে পা দিলেন জনপ্রিয় সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল।

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Dec 2014, 06:40 PM
Updated : 22 Dec 2014, 07:16 PM

মঙ্গলবার নিজের কর্মস্থল সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই এবারের জন্মদিন পালন করবেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন তিনি।

জন্মদিনের ঠিক আগে অধ্যাপক জাফর ইকবাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জন্মদিনটাকে আলাদাভাবে দেখি না আমি। এই বয়সে জন্মদিন পালনের কী আর আনন্দ আছে!”

“সারাদিন ডিপার্টমেন্টের কাজের মধ্য দিয়ে হয়তো দিনটি যাবে আর কি,” হেসে যোগ করেন জনপ্রিয় এই লেখক।

শিশু কিশোররা দলে দলে এসে শুভেচ্ছা দেয়ার কারণেই জন্মদিনটা একটু আলাদা মনে হয় বলে জানান শিশুসাহিত্যের এই জনপ্রিয় লেখক।

জন্মদিনে কোন আয়োজন আছে কি না জানতে চাইলে জাফর ইকবালের স্ত্রী অধ্যাপক ইয়াসমিন হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সকাল থেকে সবাই আসবে, শুভেচ্ছা জানাবে। স্বজন শুভানুধ্যায়ীদের শুভেচ্ছার মধ্য দিয়ে দিনটি পালিত হবে।”

এদিকে জন্মদিনের প্রথম প্রহরে অধ্যাপক জাফর ইকবালকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

১৯৫২ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন জাফর ইকবাল।

বাবা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ফয়জুর রহমান এবং মা আয়েশা ফয়েজ। বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদ তার বড় ভাই এবং কার্টুনিস্ট ও সাহিত্যিক আহসান হাবীব তার ছোট ভাই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন জাফর ইকবাল। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করে ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে পোস্টডক্টরাল গবেষণা করেন।

১৯৮৮ তে তিনি বিখ্যাত বেল কমিউনিকেশনস রিসার্চ এ গবেষক হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত সেখানে কাজ করেন।

ওই বছরই দেশে ফিরে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে যোগ দেন।

বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক এবং তড়িৎ ও তড়িৎযন্ত্র প্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান পদে কর্মরত আছেন।

তার লেখা অনেকগুলো কিশোর উপন্যাস বাংলা কিশোর-সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে। একাধিক কিশোর উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্রও নির্মিত হয়েছে।

বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড গড়ে তোলার পেছনে তার অসামান্য অবদান রয়েছে। গণিত শিক্ষার উপর তিনি বেশ কয়েকটি বই রচনা করেছেন। 

অসংখ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরষ্কার এ ভূষিত হয়েছেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বাংলা একাডেমী পুরস্কার (২০০৪), শ্রেষ্ঠ নাট্যকার হিসেবে ২০০৫ সালে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার, কাজী মাহবুবুল্লাজেবুন্নেছা পদক(২০০৪), খালেদা চৌধুরি সাহিত্য পদক, শেলটেক সাহিত্য পদক (২০০৩), ইউরো শিশুসাহিত্য পদক (২০০৪), মোহা. মুদাব্বর-হুসনে আরা সাহিত্য পদক (২০০৫), মার্কেন্টাইল ব্যাংক সম্মাননা পদক (২০০৫), আমেরিকা অ্যালাইমনাই অ্যাসোসিয়েশন পদক (২০০৫), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন পদক (২০০৫)।