সুন্দরবনের ‘হেফাজত’ চায় হেফাজত

সুন্দরবনের শেলা নদীতে তেলের ট্যাংকারডুবির ঘটনাকে ‘আল্লাহর গজব’ উল্লেখ করে হেফাজতে ইসলাম বলেছে, কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী দেশ পরিচালিত না হওয়াই এর কারণ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Dec 2014, 04:58 PM
Updated : 21 Dec 2014, 04:58 PM

এই দুর্ঘটনার ১২ দিন পর রোববার দেওয়া এক বিবৃতিতে চট্টগ্রামভিত্তিক এই সংগঠনটি প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় সরকারের ‘উদাসীনতাকে’ দায়ী করে তার হেফাজতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানিয়েছে।

গত ৯ ডিসেম্বর ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৬৬৪ লিটার ফার্নেস অয়েলবাহী অয়েল ট্যাংকারটি একটি কার্গো ধাক্কায় ডুবে গেলে এ থেকে তেল ছড়িয়ে পড়ে সুন্দরবনের নদী-খালে।

বিবৃতিতে হেফাজত আমির শাহ আহমদ শফী বলেন, “দেশে অনাচার-সন্ত্রাস-খুন-ব্যাভিচার-পাপাচার ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিস্তার এবং কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক না চলে আখেরাতের কথা ভুলে বস্তুবাদী চেতনায় গা ভাসিয়ে দেওয়ায় চারিদিকে দুর্ভোগ ও গজবের আলামত দেখা যাচ্ছে।

“এদেশের শাসক ও জনগণ ইসলামের বিধিনিষেধ মেনে না চলা এবং তাদের সীমাহীন ভুলের কারণেই সুন্দরবনের এই পরিবেশ বিপর্যয় ঘটেছে।”

প্রাণী ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর তেল বহনকারী জাহাজটি ত্রুটিপূর্ণ ছিল দাবি করে আহমদ শফী বলেন, “কেবল মুনাফা লাভ ও ক্ষমতার লোভেই এরা প্ররোচিত হয়েছে।”

সুন্দরবনে প্রাণীদের মৃত্যুর খবরে ব্যথিত হেফাজত নেতা প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় সবার সক্রিয়তা প্রত্যাশা করে বলেন, “আল্লাহর সৃষ্টিকূলের হেফাজত করাই মুমিন মুসলমানদের কর্তব্য।”

হেফাজতের মহাসচিব জুনাইদ বাবুনগরী সরকারের উদাসীনতাকে দায়ী করে বলেন, “সুন্দরবনের তেমন ক্ষতি হবে না দাবি করে নৌমন্ত্রীর মন্তব্যে আমরা বিস্মিত ও ক্ষিপ্ত।

“মানুষ কতটা নির্বোধ ও উদাসীন হলে পরিবেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতে পারে! সারা দুনিয়া যেখানে পরিবেশ রক্ষায় একাট্টা সেখানে আমাদের সুন্দরবন রক্ষায় আমরা উদাসীন।”