গত রোববার যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ‘নিউ ইয়র্ক’ স্কুলছাত্র ইসলামের বিপুল অর্থের মালিক হওয়ার খবরটি প্রকাশের পর স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদপত্র চাঞ্চল্যকর ওই তথ্য নিয়ে অনুসন্ধান চালাতে গেল তা ভুয়া বলে উদ্ঘাটিত হয়।
ভুল হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে ‘নিউ ইয়র্ক’ কর্তৃপক্ষ পাঠকের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেছে, প্রতিবেদনটি প্রকাশের ক্ষেত্রে তাদের সাবধানতার ঘাটতি ছিল।
ওই প্রতিবেদনে ১৭ বছর বয়সী ইসলামের ব্যাংক হিসাবের (স্টেটমেন্ট) তথ্য তুলে ধরা হয়েছিল। ওই তরুণ এখন নিজেও স্বীকার করেছেন যে বিষয়টি ছিল সাজানো।
স্কুলছাত্র ইসলামের এই ঘটনায় বাংলাদেশিরাও বিব্রত বোধ করছেন। কেন ইসলাম এই কাজ করলেন, তা নিয়েও চিন্তিত তারা।
নিউ ইয়র্কের অন্যতম সেরা ম্যানহাটানের স্টাইভ্যাসেন্ট হাই স্কুলের দ্বাদশ গ্রেডের ছাত্র ইসলাম মা-বাবার সঙ্গে কুইন্সে থাকেন।
ইসলাম বলছেন, নিউ ইয়র্ক ম্যাগাজিনের সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপে এভাবে এত আয় করার সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন তিনি।
এ ঘটনার মাধ্যমে স্বজন, শুভানুধ্যায়ীদের বিব্রত করার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন এই তরুণ। সেই সঙ্গে পারিবারিকভাবে নিজেও বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়েছেন বলে জানিয়েছেন।
“আমার বাবা এখন আমার কথা শুনছেন না, আমার মা আমার সঙ্গে কথাও বলতে চাইছেন না।”