সোমবার ভোর ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনার পরপরই ওই লঞ্চে থাকা মাস্টারসহ ১২ নাবিক সাঁতরে তীরে উঠেছেন।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আমির হোসাইন চৌধুরী জানান, চাঁদপাই রেঞ্জের তাম্বুলবুনিয়া ও হরিণটানা এলাকার মাঝামাঝি স্থানে ‘এমভি শাহীদূত’ নামের দোতলা লঞ্চটি ডুবে যায়।
পর্যটন প্রতিষ্ঠান ‘সুন্দরবন হলি ডেজ’ শীত মৌসুমে সুন্দরবন ভ্রমণ করতে আসা পর্যটকদের জন্য এটি ভাড়া করে পিরোজপুর থেকে খুলনা আনছিল। তাই ওই সময় এতে কোনো পর্যটক ছিল না।
সুন্দরবন হলি ডেজের পরিচালক রফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিন মাসের চুক্তিতে লঞ্চটি ভাড়া করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে পিরোজপুর থেকে লঞ্চটি খুলনার পথে রওনা হয়।
ঘন কুয়াশার মধ্যে সোমবার রাত ৩টার দিকে ভাটা থাকায় হরিণটানা এলাকায় লঞ্চের সামনের অংশ চরে আটকে যায়।
জোয়ার আসার পর লঞ্চ মাস্টার শিমুল লঞ্চিটি চালাতে শুরু করলে কাত হয়ে পানিতে তালিয়ে যায়।
“এ সময় লঞ্চে থাকা মাস্টারসহ ১২ নাবিক সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন। পরে লঞ্চের মাস্টারের মাধ্যমে খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থলের কিছু দূরে থাকা আমাদের বনবিলাস নামের আরেকটি লঞ্চ সেখানে গিয়ে তাদের নিয়ে আসে। আমরা ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”
৮০ জনের মতো ধারণ ক্ষমতার লঞ্চটির মালিক শামীম হাসান। তিনি ঢাকার বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন রফিকুল।